ডেস্ক রিপোর্ট :
দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতার আসার পর প্রথম কর্মদিবসে ট্রাম্প এক নির্বাহী আদেশে ফেডারেল এজেন্সিগুলোকে জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব সীমিত করতে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প বৃহস্পতিবার বলেছেন, জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব সীমিত করতে তিনি যে নির্বাহী আদেশে সই করেছেন, তা নিয়ে চলমান মামলায় জেতা তার পক্ষে সহজ।
সুপ্রিম কোর্ট আগামী মাসে নির্বাহী আদেশ বাস্তবায়নের পক্ষে যুক্তি শুনতে রাজি হওয়ার পর হোয়াইট হাউযে রিপোার্টারদের কাছে এ কথা বলেন ট্রাম্প। দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতার আসার পর প্রথম কর্মদিবসে ট্রাম্প এক নির্বাহী আদেশে ফেডারেল এজেন্সিগুলোকে জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব সীমিত করতে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন।
আদেশে ফেডারেল এজেন্সিগুলোকে তিনি জানান, মা-বাবার যেকোনো একজনের নাগরিকত্ব কিংবা স্থায়ীভাবে বসবাসের বৈধতা না থাকলে অ্যামেরিকায় জন্মগ্রহণকারী শিশুর নাগরিকত্বের স্বীকৃতি যেন না দেওয়া হয়।
ট্রাম্পের এ আদেশের বিরুদ্ধে ২২টি স্টেইটের ডেমোক্র্যাটিক অ্যাটর্নি জেনারেল, অভিবাসী অধিকার সুরক্ষা আইনজীবী এবং সন্তানসম্ভবা মায়েরা মামলা করেন। তাদের দাবি, ১৮৬৮ সালে সংবিধানের ১৪তম সংশোধনীতে প্রদত্ত অধিকার অনুযায়ী, অ্যামেরিকায় জন্মগ্রহণকারী যে কেউ দেশটির নাগরিক।
এ নিয়ে চলমান মামলার বিষয়ে বৃহস্পতিবার এক প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেন, ‘…আমি মনে করি বিষয়টি (জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব) নিয়ে ব্যাপক ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। জন্মসূত্রে নাগরিকত্বের বিষয়টি দাসত্ব সংক্রান্ত।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিষয়টি একেবারেই দাসত্বকেন্দ্রিক। আপনি বিষয়টিকে সেই জায়গা থেকে দেখলে লোকজন বুঝবে। কিন্তু কিছু কারণে আইনজীবীরা এটা নিয়ে কথা বলেন না। সংবাদে এ নিয়ে কথা হয় না।
‘বিষয়টা এ সংক্রান্ত নয় যে, পর্যটকরা এসে এক মুঠো ধুলো স্পর্শ করল এবং হঠাৎ দেখল, তাদের নাগরিকত্ব, তারা নাগরিক। পুরোটাই দাসত্ব নিয়ে। এমনকি কোন তারিখে এটা সই হয়েছে, সেদিকে নজর দিন। এটি ছিল গৃহযুদ্ধের ঠিক পরের যুগের ঘটনা এবং আপনি যদি সেভাবে দেখেন, জেতার জন্য এটি একটি সহজ মামলা।’
এটিভি বাংলা / হৃদয়
Leave a Reply