ডেস্ক রিপোর্ট :
বৈঠকে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের শুল্কনীতি, পুঁজিবাজারে চলমান অস্থিরতাসহ অভ্যন্তরীণ ও বৈশ্বিক নানা বিষয়ে আলোচনা করেন ক্যাবিনেট সদস্যরা। বাণিজ্যিক অংশীদার দেশগুলো আগামী ৯০ দিনের মধ্যে অ্যামেরিকার সঙ্গে কাঙ্ক্ষিত চুক্তি না করলে তাদের ওপর উচ্চ হারের শুল্ক ফিরিয়ে আনা হবে বলে হুমকি দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প।
হোয়াইট হাউযে বৃহস্পতিবার ক্যাবিনেট বৈঠকে এ হুমকি দেন তিনি। ওই সময় ট্রাম্প বলেন, চায়নার সঙ্গে বাণিজ্যচুক্তি করতে তিনি খুবই আগ্রহী। দেশের পুঁজিবাজারে চলমান অস্থিরতাকে সাময়িক উল্লেখ করে তা খুব ভালো অবস্থায় রয়েছে বলে দাবি করেন ট্রাম্প।
বৈঠকে স্টেইট সেক্রেটারি মার্কো রুবিও বলেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বিশ্বকে সঠিকভাবে সাজাতে পারবেন বলে তিনি বিশ্বাস করেন।
অন্যদিকে শনিবার ইরানের সঙ্গে হতে যাওয়া অ্যামেরিকার সরাসরি বৈঠক সম্পর্কে ট্রাম্প বলেন, ওই বৈঠকের মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার বিষয়ে তিনি আশাবাদী।
বৈঠকে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের শুল্কনীতি, পুঁজিবাজারে চলমান অস্থিরতাসহ অভ্যন্তরীণ ও বৈশ্বিক নানা বিষয়ে আলোচনা করেন ক্যাবিনেট সদস্যরা। শুরুতেই পুঁজিবাজারে বুধবারের নাটকীয় উত্থানকে ঐতিহাসিক দিন বলে আখ্যায়িত করেন তিনি। পরিবর্তনজনিত কারণে পুঁজিবাজারে কিছু সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, শেষ পর্যন্ত পুঁজিবাজার ভালো অবস্থানেই থাকবে।
ওই সময় এক প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প জানান, বৃহস্পতিবার পুঁজিবাজারে ফের দরপতনের বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না।
পুঁজিবাজার থেকে অর্থ হাতিয়ে নিতে ট্রাম্প কারসাজি করে থাকতে পারেন, কয়েকজন ডেমোক্র্যাটের এমন অভিযোগ উড়িয়ে দেন প্রেসিডেন্ট।
বৈঠকে ট্রেযারি সেক্রেটারি স্কট বেসেন্ট বলেন, মূল্যস্ফীতির হার সন্তোজনক। জ্বালানি তেলের দামও কমছে। সব মিলিয়ে কোনো অস্বাভাবিক কিছু দেখছেন না তিনি। কমার্স সেক্রেটারি হাওয়ার্ড লাটনিক জানান, আগামী দেড় সপ্তাহের মধ্যে ধনী বিদেশিদের জন্য প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের গোল্ড কার্ড চালু হতে যাচ্ছে।
বৈঠকে চায়না প্রসঙ্গে ট্রাম্প জানান, তাদের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি করতে চান তিনি। প্রেসিডেন্ট জানান, বাণিজ্য অংশীদার দেশগুলোর সঙ্গে আশানুরূপ চুক্তি না হলে শুল্ক নিয়ে আগের অবস্থানে ফিরে যাওয়া হবে। অন্যদিকে স্টেইট সেক্রেটারি রুবিও জানান, ইরান কখনোই পারমাণবিক শক্তিধর হতে পারবে না, প্রেসিডেন্টের এমন নীতিই হবে দেশটির সঙ্গে অ্যামেরিকার সরাসরি বৈঠকের মূল বিষয়।
বৈঠকে গাযায় হামাসের কাছ থেকে জিম্মিদের মুক্তির বিষয়ে অগ্রগতি হচ্ছে বলে দাবি করেন ট্রাম্প। এতে ট্রাম্পের ঘনিষ্ট মিত্র ও ডোজের প্রধান ইলন মাস্ক জানান, অপচয় ও জালিয়াতি কমানোর মাধ্যমে ২০২৬ অর্থবছরে ১৫০ বিলিয়ন ডলার সাশ্রয়ের আশা করছেন তারা।
ট্রাম্প বলেন, মাস্কের কাছ থেকে তাঁর কোনো কিছুর প্রয়োজন নেই। শুধু তাকে খুব পছন্দ করেন।
এটিভি বাংলা/হৃদয়
Leave a Reply