মোরশেদ আলমের জামিন শুনানিতে যা হলো

ডেস্ক রিপোর্ট :
রাজধানীর ধানমন্ডি থানার একটি হত্যা মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) ও বেঙ্গল গ্রুপের চেয়ারম্যান মোরশেদ আলমকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে প্রেরণ করেছেন আদালত। কারাবিধি অনুযায়ী তাকে চিকিৎসা প্রদানের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।

আজ বুধবার (৯ এপ্রিল) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শাহিন রেজা আদালত মোরশেদ আলমের জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে এ আদেশ দেন।

রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ঢাকা মহানগর পিপি ওমর ফারুক ফারুকী। অপরদিকে আসামিপক্ষে জামিনের আবেদন করেন আইনজীবী তুহিন হাওলাদার। তিনি জামিন শুনানিতে বলেন, আসামির বিরুদ্ধে এজাহারে কোনো বক্তব্য নেই। আসামি অসুস্থ। জামিন দিলে পলাতক হবে না। এরপর বিচারক বলেন, আপনাদের জামিন শুনানি এতটুকুই? এরপর আইনজীবী বলেন, স্যার, আমাদের বিষয়ে মামলাতে কোনো অভিযোগ নেই।

পরবর্তীতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ওমর ফারুক ফারুকী বলেন, আসামি ফ্যাসিস্ট হাসিনার সহযোগী। তিনি রাতের ভোটের এমপি। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় শেখ হাসিনা গোপনে যাদের সাথে মিটিং করেছেন, তিনি সেখানে ছিলেন। তার মদদে ও সহযোগিতায় ছাত্র হত্যা হয়েছে। পিপি আরও বলেন, আসামি কোনো রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব না। তিনি কোনোদিন রাজনীতি করেনি। আসামি একজন ব্যবসায়ী। তিনি এমপি হয়েছেন ব্যবসা করার জন্য। ব্যবসা করে তিনি ট্যাক্স ফাঁকি দিয়েছেন।

পিপি শুনানিতে বলেন, আসামি ৫ আগস্টের পরে আত্মগোপনে ছিলেন। এখন আসামি শনাক্ত করে ধরা হচ্ছে। আসামির ফোনকলের কথোপকথনের পরে আসামিকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। প্রকৃত অপরাধী কাউকে এখন আর ছাড়া হবে না। তাই এই মুহূর্তে আসামি জামিন পেলে পলাতক হবেন।

পরে আসামির আইনজীবী বলেন, মাননীয় আদালত, আমি আসামির ডিভিশন চাচ্ছি এবং আসামিকে কারাগারে চিকিৎসার জন্য আবেদন করছি। এরপর বিচারক আসামির চিকিৎসা কারাবিধি অনুসারে করার আদেশ দেন এবং ডিভিশনের আবেদন নথিভুক্ত করার আদেশ প্রদান করেন।

এর আগে এদিন দুপুরে কঠোর নিরাপত্তা বেস্টনির মধ্যে দিয়ে মাথায় হেলমেট ও জ্যাকেট পরিয়ে মোরশেদ আলমকে আদালতে নেওয়া হয়।

গতকাল মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) রাজধানীর গুলশান-২ থেকে মোরশেদ আলমকে গ্রেপ্তার করে ডিবি। তার বিরুদ্ধে হত্যাসহ একাধিক মামলা রয়েছে। ডিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার ও মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের পরিচালক মুহাম্মদ তালেবুর রহমান গণমাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

২০১৪ সালে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়ে নোয়াখালী-২ (সেনবাগ ও সোনাইমুড়ী উপজেলার একাংশ) আসন থেকে সংসদ সদস্য (এমপি) হন মোরশেদ আলম। এরপর ২০১৮ সালে একাদশ এবং ২০২৪ সালে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে একই আসন থেকে সংসদ সদস্য হন তিনি।

এটিভি বাংলা / হৃদয়


by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *