ডেস্ক রিপোর্ট :
বিশ্বজুড়ে শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত স্থগিত করা হবে না বলে জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। সোমবার হোয়াইট হাউযের ওভাল অফিসে ইযরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনজামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে আলোচনাকালে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প জানান, অ্যামেরিকায় ব্যবসা করতে হলে শুল্কের বিষয়ে সব দেশকেই সমঝোতায় আসতে হবে। অনেক দেশই এখন অ্যামেরিকার সঙ্গে আলোচনায় বসতে যাচ্ছে বলে দাবি করে প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প বলেন, তিনি শুল্ক আরোপের বিষয়ে তার সিদ্ধান্ত স্থগিত করবেন না।
ট্রাম্প অভিযোগ করেন, জাপান, সাউথ কোরিয়া ও ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন মিত্র হলেও তাদের সঙ্গে অ্যামেরিকার বাণিজ্য ঘাটতি রয়েছে। তারা তাদের তৈরি গাড়ি অ্যামেরিকায় ব্যাপকভাবে রফতানি করলেও অ্যামেরিকার তৈরি গাড়ি আমদানি করে না। পাশাপাশি অ্যামেরিকার কোনো কৃষিপণ্যও তারা নেয় না বলে অভিযোগ করেন তিনি। দীর্ঘদিন ধরেই ইইউসহ এসব দেশের এমন বৈষম্যমূলক বাণিজ্যের কারণে অ্যামেরিকা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলে দাবি করেন ট্রাম্প। তাই এবার তার পাল্টা শুল্কনীতির প্রভাবে এসব বাণিজ্য ঘাটতি কমবে বলে আশা করেন তিনি।
তবে তার আরোপিত শুল্কের কারণে আঘাত পাওয়া বিভিন্ন দেশ, নিজেদের রক্ষা করতে আলোচনায় বসতে চাচ্ছে বলে জানান ডনাল্ড ট্রাম্প। অন্যান্য দেশের সঙ্গে এমন ভারসাম্যপূর্ণ অর্থনৈতিক ব্যবস্থাই তিনি চেয়েছিলেন বলেও জানান প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।
চায়না নতুন করে অ্যামেরিকার ওপর যে পাল্টা ৩৪ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে, তাতে ক্ষোভ জানিয়ে দ্রুত তা প্রত্যাহারের আহ্বান জানান ট্রাম্প। ট্রাম্প বলেন, মঙ্গলবারের মধ্যে আলোচনায় না বসলে কিংবা কোনো সমঝোতায় আসতে না পারলে চায়নার ওপর নতুন করে আরো ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপের হুঁশিয়ারি দেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। এর আগে, ট্রুথ সোশ্যালেও চায়নার ওপর নতুন করে আরো ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপের হুঁশিয়ারি দেন প্রেসিডেন্ট।
এদিকে, অ্যামেরিকার আরোপ করা পাল্টা শুল্ককে অর্থনৈতিক হুমকি উল্লেখ করে এর তীব্র নিন্দা জানিয়েছে চায়না। এক সংবাদ সম্মেলনে, অ্যামেরিকার এমন সিদ্ধান্ত বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার নীতির বিরোধী বলে অভিযোগ করেন চায়নার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লিন জিয়ান। একই সঙ্গে এটি বৈশ্বিক অর্থনীতি, সরবরাহ ব্যবস্থা ও বাণিজ্যকে মারাত্মক হুমকিতে ফেলবে বলেও আশঙ্কা জানান তিনি।
এটিভি বাংলা / হৃদয়
Leave a Reply