ডেস্ক রিপোর্ট :
বিশ্বব্যাপী প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের আরোপ করা সার্বজনীন ১০ শতাংশ শুল্ক আদায় শুরু হয়েছে। শনিবার থেকে সমুদ্রবন্দর, বিমানবন্দর ও কাস্টমসের গুদাম থেকে পণ্য নিতে, অতিরিক্ত এই শুল্ক দিতে হচ্ছে দেশীয় আমদানিকারকদের। বিশ্ব বাণিজ্যের নিয়ম ভেঙে শনিবার মধ্যরাত থেকে কার্যকর হয়েছে, প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের নতুন শুল্কনীতি। প্রথম ধাপে, অস্ট্রেলিয়া, বৃটেইন, কলম্বিয়া, আর্জেন্টিনা, ইজিপ্ট ও সৌদি আরবসহ অনেকগুলো দেশের ওপর বসেছে, ১০ শতাংশের সার্বজনীন শুল্ক। রাত ১২টা ০১ মিনিট থেকে এসব দেশ থেকে আমদানীকৃত পণ্যের জন্য অতিরিক্ত শুল্ক গ্রহণ করছেন কাস্টমস-এর কর্মকর্তারা।
ইউএস কাস্টমস অ্যান্ড বর্ডার প্রোটেকশনের বুলেটিনে জানানো হয়, শনিবার মধ্যরাতে জলপথে পণ্যবাহী জাহাজের জন্য কোনও অতিরিক্ত সময় দেওয়া হয়নি। তবে, অ্যামেরিকায় ট্রানজিটে আনার জন্য যেসব পণ্য ইতিমধ্যে জাহাজ বা বিমানে লোড করা হয়েছে, সেগুলোর জন্য ৫১ দিনের অতিরিক্ত সময়সীমা বেধে দেওয়া হয়েছে। ১০ শতাংশ শুল্ক এড়াতে এই পণ্যগুলোকে বন্দরে পৌঁছাতে হবে ২৭ই মে রাত ১২টা ০১ মিনিটের মধ্যে।
এছাড়া, আগামী বুধবার থেকে ৫৭টি দেশের ওপর আরোপিত বাড়তি শুল্ক আদায় চালুর কথা রয়েছে। একইসাথে, চায়না ও ইউরোপিয়ান ইউনিয়নসহ সেসব দেশের আরোপিত পাল্টা শুল্কও ঐদিন থেকেই কার্যকর হবে।
ট্রাম্পের এমন নজিরবিহীন শুল্ক আরোপের জেরে, বিশ্বব্যাপি মন্দার আশংকা করছেন বিনিয়োগকারীরা। গত তিনদিনে, শেয়ার বাজারেও বড় ধরণের দরপতন দেখা দিয়েছে। তবে, নিন্দুকদের সমালোচনাকে ছাপিয়ে, তার সিদ্ধান্তকেই অর্থনৈতিক বিপ্লব বলে দাবি করছেন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। শনিবার, ট্রুথ সোশ্যালে দেয়া এক পোস্টে তিনি বলেন, ইতিমধ্যে পাঁচ ট্রিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ হয়েছে। এবং এটি ক্রমশ বাড়ছে।
তবে, প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের সাথে দ্বিমত জানিয়ে, ভবিষ্যতে অ্যামেরিকা-ইউরোপের মধ্যে শুল্কমুক্ত বাণিজ্য দেখতে চান বলে জানিয়েছেন, শীর্ষ ধনকুবের ও ডোজ প্রধান ইলন মাস্ক।
শনিবার, ইটালির ফ্লোরেন্সে, ডানপন্থী লিগ পার্টির সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে মাস্ক বলেন, ইউরোপ-অ্যামেরিকা উভয়েরই আদর্শগতভাবে, একটি শূন্য শুল্ক পরিস্থিতির দিকে এগিয়ে যাওয়া উচিত এবং কার্যকরভাবে একটি মুক্ত বাণিজ্যিক অঞ্চল তৈরি করা প্রয়োজন।
এটিভি বাংলা / হৃদয়
Leave a Reply