ছাড়তে বলা হচ্ছে কেন শত শত বিদেশি শিক্ষার্থীকে

ডেস্ক রিপোর্ট :
যুক্তরাষ্ট্রে পড়াশোনা করা শত শত বিদেশি শিক্ষার্থীকে হঠাৎ দেশ ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর থেকে পাঠানো ই-মেইলে জানানো হয়েছে, তাঁদের স্টুডেন্ট ভিসা (এফ-১) বাতিল করা হয়েছে। মূল কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, তাঁরা ক্যাম্পাসে বিক্ষোভে অংশ নিয়েছেন বা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রাষ্ট্রবিরোধী পোস্ট শেয়ার বা তাতে লাইক দিয়েছেন।

এই কঠোর ব্যবস্থা শুধু সরাসরি বিক্ষোভে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের জন্যই নয়, বরং যাঁরা কোনোভাবে এসব কর্মকাণ্ড সমর্থন করেছেন, এমনকি অনলাইনে লাইক দিয়েছেন, তাঁরা এই কঠোর শাস্তির শিকার হচ্ছেন। তাঁদের মধ্যে কিছু ভারতীয় শিক্ষার্থী আছেন বলে টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে বর্তমানে ১১ লাখের বেশি আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী রয়েছেন, তাঁদের মধ্যে ৩ লাখ ৩১ হাজার ভারতীয় শিক্ষার্থী।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও জানান, তাঁরা প্রতিদিন এই ধরনের ভিসা বাতিল করছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা ইতিমধ্যে তিন শতাধিক ভিসা বাতিল করেছি এবং এই প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে। আইন ভেঙে কেউ যুক্তরাষ্ট্রে থাকার সুযোগ পাবে না।’

‘ক্যাচ অ্যান্ড রিভোক’ নামের একটি এআইচালিত অ্যাপ চালু করেছে রুবিওর কার্যালয়। অ্যাপটি বিদেশি শিক্ষার্থীদের অনলাইন কার্যকলাপ পর্যবেক্ষণ করে সন্দেহভাজনদের ভিসা বাতিলের সুপারিশ করে। মার্কো রুবিও স্পষ্ট করে বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা পাওয়া জন্মগত অধিকার নয়। এটি একটি সুযোগ এবং কেউ নিয়ম ভাঙলে তাঁকে চলে যেতে হবে।’

ই-মেইলে যে বার্তা দেওয়া হয়েছে

ভিসা বাতিল হওয়া শিক্ষার্থীদের পররাষ্ট্র দপ্তর থেকে পাঠানো ই-মেইলে বলা হয়—

তাঁদের ভিসা বাতিল করা হয়েছে এবং তাঁরা আর যুক্তরাষ্ট্রে থাকার অনুমতি পাবেন না। যত দ্রুত সম্ভব তাঁদের নিজ দেশে ফিরে যেতে হবে, অন্যথায় তাঁদের আটক বা জোরপূর্বক নির্বাসন করা হতে পারে। ভবিষ্যতে যুক্তরাষ্ট্রে আসতে চাইলে নতুন করে ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে।

মার্কিন এই সিদ্ধান্তে শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে পড়তে আসা শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। এতে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা খর্ব করা হচ্ছে এবং শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে বলে অনেকে মনে করছেন।

এটিভি বাংলা / হৃদয়


Posted

in

,

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *