ডেস্ক রিপোর্ট :
গাজা থেকে ফিলিস্তিনদের পূর্ব আফ্রিকায় পুনর্বাসন করতে চায় অ্যামেরিকা ও ইযরায়েল। শুক্রবার অ্যামেরিকা ও ইযরায়েলের কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে বার্তা সংস্থা এপি জানায়, পুনর্বাসনের বিষয়ে আলোচনা করতে পূর্ব আফ্রিকার তিনটি দেশের সাথে যোগাযোগ করা হয়েছে। এদিকে যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় দফা আলোচনার বিষয়ে ঐক্যমত আসার পর একজন জীবিত ও চার জিম্মির মরদেহ ফেরত দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে হামাস।
ইস্ট আফ্রিকায় প্যালেস্টিনিয়ানদের পুনর্বাসন করতে সুদান, সোমালিয়া এবং বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া সোমালিল্যান্ডের কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করেছে অ্যামেরিকা ও ইযরায়েলের কর্মকর্তারা। শুক্রবার অ্যামেরিকা ও ইযরায়েলের কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এপি জানায়, গাযা থেকে ইস্ট আফ্রিকায় প্যালেস্টিনিয়ানদের পুনর্বাসনের জন্য তাদের ভূখণ্ড ব্যবহার নিয়ে আলোচনা করতে ইস্ট আফ্রিকার এই তিন দেশের কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করা হয়েছে।
এর পরিপ্রেক্ষিতে অ্যামেরিকার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন বলে জানিয়েছেন সুদানের কর্মকর্তারা। তবে সোমালিয়া ও সোমালিল্যান্ডের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, অ্যামেরিকা ও ইযরায়েলের এই পরিকল্পনার বিষয়ে তারা অবগত নন। তাদের কাছে এখনো এমন কোন প্রস্তাব আসেনি। এ বিষয়ে হোয়াইট হাউয ও স্টেইট ডিপার্টমেন্টের কাছে জানতে চাওয়া হলে কোন মন্তব্য করেননি কর্মকর্তারা।
এদিকে যুদ্ধবিরতি চুক্তি সত্ত্বেও ইযরায়েল প্রায় প্রতিদিনই গাযায় হামলা চালিয়ে যাচ্ছে এবং এতে ঘটছে হতাহতের ঘটনাও। বৃহস্পতিবার গাযা সিটির উত্তরে বেইত হানুনে ইযরায়েলি ড্রোন হামলায় দুই প্যালেস্টিনিয়ান শিশু নিহত হয়েছে এবং আহত হয়েছেন দুই নারী।
অন্যদিকে, গাযার উপর অবরোধ আরোপের ১৩ দিন পার হয়েছে। এতে খাদ্য-পানীয়র অভাবে দুর্বিষহ জীবন অতিবাহিত করছে ২ দশমিক ৩ মিলিয়ন মানুষ। এছাড়াও পানি নির্লবণীকরণ প্ল্যান্টের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে ইযরায়েল, এতে হুমকির মুখে পড়েছে পানি সরবারাহ।
এরই মাঝে যুদ্ধবিরতি চুক্তির দ্বিতীয় ধাপে আলোচনার ঐকমত্যে পৌছানোর পর জীবিত এক অ্যামেরিকান-ইযরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দিতে সম্মত হয়েছে হামাস। সেই সাথে চার মরদেহ হস্তান্তরের কথাও জানিয়েছে তারা। শুক্রবার এক বিবৃতি একথা জানিয়েছে গাযার এই সশস্ত্র গোষ্ঠী।
এটিভি বাংলা / হৃদয়
Leave a Reply