ডেস্ক রিপোর্ট :
সমস্ত অবৈধ অভিবাসীদের বের করে দিতে ট্রাম্প প্রশাসনের দেশজুড়ে পরিচালিত অভিযানে আটক হচ্ছেন বৈধ অভিবাসীরাও। তেমনি এক অভিবাসী পাবলো মোরালেসের ছেলে লুইস। পাবলো জানান, তার পরিবারের বৈধ কাগজপত্র থাকায় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের এই কর্মসূচি নিয়ে চিন্তিত ছিলেন না তিনি। তবে সম্প্রতি ছেলে লুইসের সব নথিপত্র সঠিক থাকার পরও তাকে আটক করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন পাবলো।
দেশে দ্বিতীয় বারের মতো প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর থেকেই অবৈধ অভিবাসীদের অ্যামেরিকা থেকে বের করে দেয়ার কার্যক্রম হাতে নিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। তবে, এ নিয়ে একেবারেই চিন্তিত ছিলেন না পাবলো মোরালেস। কেননা তার পরিবার কিউবা থেকে বৈধভাবেই অ্যামেরিকায় এসেছেন এবং কোন আইনও ভঙ্গ করেননি তারা।
তবে তার ছেলে লুইসকে ইমিগ্রেশন অফিসাররা যখন আটক করে তখন সব কিছু ওলট পালট হয়ে যায় বলে জানান পাবলো। তিনি বলেন, ‘আমরা এ দেশে বৈধ কি-না বা নাগরিকত্বের অপেক্ষায় আছি কি না, তা দেখার জন্য ইমিগ্রেশন এজেন্টরা আমাদের কাছে বৈধ নথিপত্র চাইলো। আমার ছেলের কোন কোর্ট ডেট না থাকায়, তাকে বাড়ির বাইরে নিয়ে হ্যান্ডকাফ পরিয়ে ফেলে। পরে তাদের গাড়িতে উঠিয়ে নিয়ে যায় আমার ছেলেকে।’
পাবলোর ছেলে লুইস ২০২৩ সালে রেসিডেন্সির জন্য আবেদন করে। তবে, আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এখনও পর্যন্ত কোন শুনানির তারিখ পাননি লুইস। তিনি বলেন, ‘আমি বুঝতে পারি না, কোন কিউবান যদি ক্রিমিনাল গ্যাংয়ের সদস্য নাও হয়, তারপরেও কেন তাদের এভাবে আটক করা হচ্ছে।’
এদিকে অধিকার কর্মীরা জানিয়েছেন, অনেক আবেদন জমা পড়ায় অ্যামেরিকার ইমিগ্রেশন সিস্টেমে বিচারক সঙ্কট দেখা দিয়েছে। এতে বিলম্ব হচ্ছে আবেদন প্রক্রিয়া। লুইসের মতো যেসব মানুষ এই বিড়ম্বনার মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন, তাদের জন্য উদ্বেগ জানিয়েছেন অভিবাসন আইনজীবীরা।
কর্তৃপক্ষ বলছে, ট্রাম্প দ্বিতীয়বারের ক্ষমতায় আসার পর থেকে এখন পর্যন্ত ৩২ হাজারেরও বেশি অভিবাসীকে আটক করেছে ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট।
এটিভি বাংলা / হৃদয়
Leave a Reply