দেশের শেয়ারবাজারে বড় ধরণের ধস

ডেস্ক রিপোর্ট :
অর্থনৈতিক মন্দার আশঙ্কার মধ্যেই দেশের শেয়ারবাজারে বড় ধরণের ধস নেমেছে। শেয়ারবাজারের প্রধান তিনটি সূচকের মধ্যে সোমবার ডাও জোন্স ইন্ডাস্ট্রিয়াল এভারেজ সূচক ৮৯০ পয়েন্ট বা দুই শতাংশ কমেছে। অন্যদিকে এস অ্যান্ড পি ফাইভ হানড্রেড সূচক কমেছে দুই দশমিক সাত শতাংশ। এটি ২০১৮ সালের ডিসেম্বরের পর থেকে এক দিনে সবচেয়ে বড় পতন। ব্লুমবার্গের মতে, এর ফলে এক ট্রিলিয়ন ডলারেরও বেশি ক্ষতি হয়েছে। বিশ্লেষকরা আশঙ্কা করছেন, শেয়ারবাজারে আরো খারাপ পরিস্থিতি দেখা দিতে পারে।

প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের একের পর এক শুল্ক আরোপের ফলে, দেশের শেয়ারবাজারের পতনের আশঙ্কা আগেই করেছিলেন বিশেষজ্ঞরা। এর আগের সপ্তাহেও স্টক মার্কেটে অস্থিরতা লক্ষ্য করা যায়। বিশেষ করে ক্যানাডা, মেক্সিকো ও চায়নার ওপর ট্রাম্প প্রশাসনের শুল্ক আরোপ ও পরবর্তীতে কিছুটা স্থগিত করায় বিনিয়োগকারীদের মধ্যে উদ্বেগ দেখা দেয়। এর ফলে, গত সপ্তাহে এসঅ্যান্ডপি ফাইভ হানড্রেড সূচক সেপ্টেম্বরের পর সবচেয়ে খারাপ অবস্থানে নেমে আসে।

সোমবার শেয়ারবাজার খোলার পরপরই প্রধান তিনটি সূচকই দ্রুত নিচে নামতে থাকে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কমতে থাকে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম।
বিলিওনেয়ার ইলন মাস্কের মালিকানাধীন ইলেকট্রিক গাড়ি প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান টেসলার শেয়ারের দাম ১৫ শতাংশ কমে গেছে। এছাড়া ইউনাইটেড এয়ারলাইন্স এবং ডেল্টা এয়ারলাইন্সের শেয়ারের দাম কমেছে ৪ শতাংশের বেশি।

মন্দা সম্পর্কে প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প ভবিষ্যদ্বাণী করতে অস্বীকৃতি জানানোর পরদিনই, ভয়াবহ পতন দেখলো দেশের শেয়ারবাজার। বিশ্লেষকরা বলছেন, অর্থনীতি মন্দার দিকেই এগিয়ে যাচ্ছে এবং বৈশ্বিক শুল্ক যুদ্ধই হবে যার কারণ।

সিবিএস নিউযের বিযনেস কন্ট্রিবিউটর জ্যাভিয়ার ডেভিড বলেছেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প মনে করছেন শুল্ক আরোপের ফলে প্রচুর অর্থ আসবে। কিন্তু এর একটি বড় অংশ ভোক্তাদেরই পরিশোধ করতে হবে। এতে দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি আরো খারাপ হবে। আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান আরবিসি ক্যাপিটাল মার্কেটসের ইকুইটি ডেরিভেটিভস স্ট্যাট্রেজিস্ট অ্যামি উ সিলভারম্যান মনে করছেন, শেয়ারবাজারে আরো বিশৃঙ্খলা দেখা দিতে পারে।

এটিভি বাংলা / হৃদয়


by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *