ডেস্ক রিপোর্ট :
সম্প্রতি সারা দেশে ধর্ষণ ও যৌন হয়রানির ঘটনায় অবিলম্বে পদক্ষেপ গ্রহণ এবং ন্যায়বিচার ও মানবাধিকার নিশ্চিতের আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ কর্মরত বিভিন্ন আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা।
আজ মঙ্গলবার (১১ মার্চ) গণমাধ্যমে পাঠানো এক যৌথ বিবৃতিতে দেশজুড়ে নারী ও শিশুদের প্রতি সহিংসতার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে একশনএইড বাংলাদেশ, অক্সফাম ইন বাংলাদেশ, সেভ দ্য চিলড্রেন ইন বাংলাদেশ ও প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল।
বিবৃতিতে সারা দেশে শিশু ও নারী সহিংসতার বিরুদ্ধে সাহসী শিক্ষার্থী, শিক্ষক, সমাজকর্মী ও সচেতন নাগরিকদের প্রতিবাদ কর্মসূচিতে একাত্মতা ও সংহতি প্রকাশ করেছে ওই আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো।
নারী ও শিশুদের প্রতি সহিংসতা রোধে সরকারের নেওয়া সাম্প্রতিক ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ধর্ষণের ঘটনায় ১৫ দিনের মধ্যে তদন্ত এবং ৯০ দিনের মধ্যে বিচার নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি প্রশংসনীয়। এই প্রতিশ্রুতির দ্রুত কার্যকর ও সুষ্ঠু বাস্তবায়ন আশা করে বলে জানিয়েছে সংস্থাগুলো।
এ সময় ধর্ষণ ও যৌন নিপীড়নের ঘটনায় জড়িতদের অবিলম্বে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও ভুক্তভোগীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি জানায় তারা।
এ ছাড়া বিবৃতিতে ধর্ষণের ঘটনায় ভুক্তভোগীদের ন্যায়বিচার নিশ্চিতে মানবাধিকার মানদণ্ডের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ধর্ষণ আইনের সংস্কার এবং ভুক্তভোগী ব্যক্তি ও সাক্ষী সুরক্ষা আইন প্রণয়ন করার দাবি জানানো হয়েছে।
বিবৃতিতে সম্প্রতি আইন ও সালিশ কেন্দ্রের প্রকাশিত কিছু তথ্য তুলে ধরে বলা হয়েছে, চলতি বছরের প্রথম দুই মাসে ২৯৪ নারী ও শিশু সহিংসতার শিকার হয়েছে, যার মধ্যে ৯৬টি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে এবং ৪৪টি শিশুও রয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ফেব্রুয়ারিতে এই অপরাধের হার উদ্বেগজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে, যেখানে ১০৭ নারী ও কন্যাশিশু সহিংসতার শিকার হয়েছে। ৫৩টি ধর্ষণের ঘটনার মধ্যে ৩৮ নারীর বয়স ১৮ বছরের কম।
একই সঙ্গে মোরাল পুলিশিং, মব ভায়োলেন্স ও জেন্ডার ন্যায়বিচারের অপব্যাখ্যার হার আশঙ্কাজনকহারে বাড়ছে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ওই চার মানবাধিকার সংস্থা।
তারা বলছে, এই উদ্বেগজনক প্রবণতা শুধু ভুক্তভোগীর ভোগান্তিই বাড়াচ্ছে না, বরং তাদের ন্যায়বিচার ও সুরক্ষা চাওয়ার ক্ষেত্রেও নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে।
এই যৌথ বিবৃতিতে ভুক্তভোগীদের প্রাধান্য দিয়ে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করে অপরাধীদের অবিলম্বে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হয়। এর পাশাপাশি ভুক্তভোগী ও তাদের পরিবারের সর্বোচ্চ সুরক্ষা ও মর্যাদা নিশ্চিতের বিষয়টি প্রাধান্য দিয়ে আইন সংস্কার করার দাবি জানিয়েছে এই চার আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা।
এটিভি বাংলা / হৃদয়
Leave a Reply