ডেস্ক রিপোর্ট :
যুদ্ধবিরতির আলোচনা শুরুর আগে গাজায় বিদ্যুৎ সংযোগ পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন করেছে দখলদার ইসরায়েল। হামাস এই পদক্ষেপের কড়া সমালোচনা করে একে “সস্তা ও অগ্রহণযোগ্য ব্ল্যাকমেইল” বলে আখ্যা দিয়েছে। খবর আল-জাজিরার।
বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় গাজার একমাত্র পানির ডেসালিনেশন প্ল্যান্টও বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে পড়েছে।
এই পদক্ষেপ এমন এক সময়ে নেওয়া হলো যখন এক সপ্তাহ আগেই ইসরায়েল গাজায় সব ধরনের মানবিক সহায়তা প্রবেশে বাধা দিয়েছে।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এটি হামাসকে যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপের মেয়াদ বাড়ানোর জন্য চাপ দেওয়ার কৌশল।
গাজায় বসবাসকারী ফিলিস্তিনিরা ইতোমধ্যেই তীব্র পানি সংকটে ভুগছেন। জেনারেটর চালানোর মতো কোনো জ্বালানি নেই, ফলে পানি সরবরাহ সম্ভব হচ্ছে না। এ ছাড়া, রান্নার বিকল্প ব্যবস্থাও নেই, কারণ গ্যাস সিলিন্ডারের মজুদও শেষ হয়ে গেছে।
এদিকে, আজ সোমবার (১০ মার্চ) কাতারের রাজধানী দোহায় মধ্যস্থতাকারীদের সাথে আলোচনা করতে যাচ্ছে ইসরায়েলি আলোচকরা। মিশর, কাতার ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধবিরতি চুক্তি পুনরুজ্জীবিত করার চেষ্টা চলছে।
অপরদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিশেষ দূত জানিয়েছেন, হামাসের সঙ্গে সরাসরি আলোচনা “খুবই ফলপ্রসূ” হয়েছে এবং গাজা পরিস্থিতি নিয়ে “কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই কিছু একটা হতে পারে।”
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, বর্বর ইসরায়েলের হামলায় এখন পর্যন্ত ৪৮ হাজার ৪৫৩ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং এক লাখ ১১ হাজার ৮৬০ জন আহত হয়েছেন।
সরকারি মিডিয়া অফিস সর্বশেষ আপডেটে জানিয়েছে, ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়া কয়েক হাজার মানুষকে মৃত হিসেবে ধরে নিয়ে নিহতের সংখ্যা অন্তত ৬১ হাজার ৭০৯ জন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এটিভি বাংলা / হৃদয়
Leave a Reply