ডেস্ক রিপোর্ট :
ইউরোপের প্রধান দেশগুলো বলেছে, তারা ফিলিস্তিনের গাজা পুনর্গঠনে আরব-সমর্থিত পরিকল্পনাকে সমর্থন করে। আরব-সমর্থিত পরিকল্পনাটি বাস্তবায়নের ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের বাস্তুচ্যুত না করেই পরিকল্পনাটি বাস্তবায়নের কথা বলা হয়েছে।
গাজা পুনর্গঠনে মিসরের পরিকল্পনাটি আরব নেতারা অনুমোদন করেছেন। কায়রোতে গত মঙ্গলবার আরব লিগের সম্মেলনে মিসরের প্রস্তাবটি অনুমোদন করা হয়। এর তিন দিন পর গতকাল শনিবার জেদ্দায় ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) বৈঠকে প্রস্তাবটি আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রহণ করা হয়।
কিন্তু আরব-সমর্থিত পরিকল্পনাটি ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র প্রত্যাখ্যান করেছে। যুদ্ধ-পরবর্তী গাজায় নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে চান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গাজা জোর করে খালি করার পরিকল্পনা রয়েছে ট্রাম্পের।
ট্রাম্পের প্রস্তাবে গাজাবাসীকে জর্ডান ও মিসরে সরিয়ে দিতে বলা হয়েছে। গাজাকে ‘মধ্যপ্রাচ্যের রিভেরা’য় (ভূমধ্যসাগরীয় উপকূল বরাবর একটি রিসোর্ট এলাকা) পরিণত করার বিষয়ে ট্রাম্প তাঁর নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি উপস্থাপন করেছেন। ট্রাম্পের পরিকল্পনা ফিলিস্তিনিদের পাশাপাশি আরব নেতারা নাকচ করেছেন।
গাজার ভবিষ্যৎ নিয়ে আরব-সমর্থিত পরিকল্পনাটি ট্রাম্পের ধারণার একটি বিকল্প। গতকাল শনিবার ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি ও যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা আরব-সমর্থিত পরিকল্পনাটিকে ‘বাস্তবসম্মত’ বলে স্বাগত জানিয়েছেন। এই পরিকল্পনায় পাঁচ বছরের মধ্যে গাজা পুনর্গঠনের কথা বলা আছে।
এক বিবৃতিতে ইউরোপের এই দেশগুলো পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা বলেছেন, আরব-সমর্থিত প্রস্তাবটিতে গাজার বিপর্যয়কর জীবনযাত্রার দ্রুত ও টেকসই উন্নতির প্রতিশ্রুতি আছে।
এটিভি বাংলা / হৃদয়
Leave a Reply