পণ্যের দামের অস্বস্তি নিয়ে শুরু হচ্ছে রমজান

ডেস্ক রিপোর্ট :
পবিত্র রমজান ঘিরে নিত্য পণ্যের দামে ছাড় দেয়া হয় বিশ্বের বিভিন্ন দেশেই। তবে বিপরীত চিত্র বাংলাদেশে। রাতারাতি বেড়ে যায় নিত্যপণ্যের দাম। সাধারণ ভোক্তাদের ভোগান্তি বাড়ে বহুগুণে।

এ বছর রমজানে চাহিদা বিবেচনায় বাড়তি যোগানের হিসাব দিয়েছে সরকার। বলা হয়েছে, সাধ্যের মধ্যেই থাকবে দাম। এদিকে টিসিবির হিসাব বলছে, গত রমজানের তুলনায় লিটারে ৩০ টাকা বেড়েছে খোলা খোলা সয়াবিনের দাম। আর লিটারে ১০ টাকা বাড়লেও পাওয়া যাচ্ছে না বোতলজাত সয়াবিন। অবশ্য, শুল্ক ছাড়ের ফলে কেজিতে ২০ টাকা কমেছে চিনির দর। প্রতি কেজি খেজুরে কমেছে ৫০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত। আর অপরিবর্তিত রয়েছে ছোলার দাম, প্রতি কেজি যা ১১০ টাকা।

এ বিষয়ে সিপিডির গবেষণা পরিচালক গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, কতিপয় বড় ব্যবসায়ীর কাছে আমাদের বাজার পুরো জিম্মি রয়েছে। এ বিষয়ে সরকার কোনরকম কোন উদ্যেগ নিচ্ছেন না।

আলু আর পেঁয়াজের উৎপাদন বাড়ায় বেশ খানিকটা কমেছে দামও। মসলা পণ্যে দ্বিগুণ বেড়েছে এলাচের দাম, প্রতিকেজি সর্বোচ্চ সাড়ে ৫ হাজার টাকা। প্রতি কেজি রসুনে গুনতে হচ্ছে বাড়তি অন্তত ২০ টাকা। দামের সূচকে আগের জায়গায় রয়েছে গরুর মাংসের দাম, কেজিতে সর্বোচ্চ ৭৮০ টাকা। প্রতি কেজি ব্রয়লারে কমেছে অন্তত ২০ টাকা, যা এখন দুইশর ঘরেই। কেজিতে ৩০ টাকা কমেছে সোনালী মুরগি। ডজনে ১০ টাকা কমে ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ টাকা পর্যন্ত।

র‍্যাপিডের গবেষণা পরিচালক মোহাম্মদ দিন ইসলাম বলছেন, লাগাম টানতে হবে আমদানি সিন্ডিকেটের। তিনি আরও বলেন একজন ডেডিকেটেড গোয়েন্দা বাহিনী নিয়োগ দেয়া উচিত যারা এদের খুঁজে বের করে শাস্তির আওতায় আনতে হবে।

সিপিডির গবেষণা পরিচালক গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, বাজার নিয়ন্ত্রণে সঠিক নীতিগ্রহণের পাশাপাশি নির্ভরতা কমাতে হবে গুটি কয়েক প্রতিষ্ঠানের উপর। প্রয়োজন নজরদারি আর আইনের কঠোর প্রয়োগ।

জানা যায়, এবার রমজানে বাজার নিয়ন্ত্রণ ও ভেজাল প্রতিরোধে মাঠে থাকবে ভোক্তা অধিদপ্তর, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বিশেষ টিম, বিএসটিআইসহ সরকারের নানা দপ্তর।

এটিভি বাংলা / হৃদয়


by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *