ডেস্ক রিপোর্ট :
ঢাকার কেরানীগঞ্জ ধারাল অস্ত্রের আঘাতে সীমা আক্তার (৪০) নামে এক নারী প্রাণ হারিয়েছেন। এ ঘটনায় ওই নারীর স্বামী আক্তার হোসেনের দাবি, ছিনতাইকারীদের অস্ত্রের আঘাতে তার স্ত্রী মারা গেছেন। অন্যদিকে স্থানীয়দের বরাতে কেরানীগঞ্জ থানা পুলিশ জানিয়েছে, পরকীয়া সম্পর্ককে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটতে পারে।
মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) রাত ৮টার দিকে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক। তিনি জানান, কেরানীগঞ্জ থেকে গুরুতর আহত অবস্থায় সীমা নামে ওই নারীকে হাসপাতালে জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়। পরে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
সীমাকে হাসপাতালে নিয়ে আসা তার স্বামী আক্তার হোসেন বলেন, সন্ধ্যার দিকে আমার মেয়েকে কোচিং থেকে নিয়ে ফেরার পথে ছিনতাইকারীরা আমার স্ত্রীকে কুপিয়ে তার কাছে থাকা ২ হাজার টাকা ও তার কানের দুল ছিনিয়ে নিয়ে যায়। পরে আমি খবর পেয়ে তাকে একটি স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে এলে চিকিৎসক জানান আমার স্ত্রী আর বেঁচে নেই
অন্যদিকে কেরানীগঞ্জ থানা পুলিশের তথ্যমতে, সন্ধ্যায় কেরানীগঞ্জ আমবাগিচা এলাকায় বাসার পাশে ৪০ বছর বয়সী ওই নারীকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আহত করে এক দুর্বৃত্ত। রক্তাক্ত অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনাস্থল থেকে ইমাম হোসেন নামে এক ব্যক্তিকে আটকের পর গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছেন স্থানীয়রা। পরকীয়া সম্পর্ককে কেন্দ্র করে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে থাকতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ।
এটিভি বাংলা / হৃদয়

Leave a Reply