গাড়ি, ওষুধ ও চিপ আমদানিতে শুল্ক আরোপের ঘোষণা ট্রাম্পের

ডেস্ক রিপোর্ট :
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গতকাল মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) জানিয়েছেন, তিনি আমদানিকৃত গাড়ি, ওষুধ ও সেমিকন্ডাক্টর চিপের ওপর ২৫ শতাংশ বা তার বেশি হারে শুল্ক আরোপের পরিকল্পনা করছেন। তার এই নতুন শুল্ক নীতি আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে বড় ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। খবর রয়টার্সের

গত শুক্রবার ট্রাম্প ঘোষণা দেন, তার প্রশাসন ২ এপ্রিল থেকেই গাড়ির ওপর শুল্ক কার্যকর করতে পারে। এর পরের দিন তার মন্ত্রিসভার সদস্যরা তাকে বিভিন্ন পণ্যের ওপর শুল্ক আরোপের সুপারিশ সংবলিত প্রতিবেদন উপস্থাপন করবেন।

ট্রাম্প দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ করে আসছেন, মার্কিন গাড়ি রপ্তানির ক্ষেত্রে অন্যান্য দেশ বৈষম্যমূলক আচরণ করছে। উদাহরণস্বরূপ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) বর্তমানে আমদানি করা গাড়ির ওপর ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে, যেখানে যুক্তরাষ্ট্রের যাত্রীবাহী গাড়ির শুল্ক হার মাত্র ২.৫ শতাংশ। তবে, যুক্তরাষ্ট্র মেক্সিকো ও কানাডা ছাড়া অন্য দেশ থেকে আমদানি করা পিকআপ ট্রাকের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক ধার্য করে, যা মার্কিন গাড়ি নির্মাতাদের জন্য অত্যন্ত লাভজনক।

ইইউর বাণিজ্য বিষয়ক প্রধান মারোস সেফকোভিচ স্থানীয় সময় আজ বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) ওয়াশিংটনে মার্কিন বাণিজ্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। আলোচনায় অংশ নেবেন মার্কিন বাণিজ্যমন্ত্রী হাওয়ার্ড লুটনিক, ট্রাম্পের মনোনীত বাণিজ্য প্রতিনিধি জেমিসন গ্রেয়ার এবং জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের পরিচালক কেভিন হাসেট।

ট্রাম্প বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন যদি মার্কিন গাড়ির ওপর তাদের শুল্ক কমিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক হারের সমান না করে, তাহলে তিনি পাল্টা শুল্ক আরোপ করবেন।

ফার্মাসিউটিক্যাল ও চিপেও বাড়তি শুল্ক

ফ্লোরিডার মার-এ-লাগো রিসোর্টে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ট্রাম্প বলেন, ফার্মাসিউটিক্যাল ও সেমিকন্ডাক্টর চিপ আমদানির ওপরও ২৫ শতাংশ বা তার বেশি শুল্ক ধার্য করা হবে এবং এটি ধাপে ধাপে আরও বৃদ্ধি পাবে।

তবে তিনি জানান, ওষুধ ও চিপ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য যুক্তরাষ্ট্রে কারখানা স্থাপনের কিছুটা সময় দেওয়া হবে, যাতে তারা নতুন শুল্ক থেকে রেহাই পেতে পারে।

ট্রাম্প আরও দাবি করেন, তার ঘোষণার পর বিশ্বের অন্যতম বড় কয়েকটি কোম্পানি যুক্তরাষ্ট্রে বিনিয়োগের ঘোষণা দিতে চলেছে। তবে তিনি এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানাননি।

 

চীনের ওপর নতুন শুল্ক ও অন্যান্য পদক্ষেপ

চার সপ্তাহ আগে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে ট্রাম্প চীনের সমস্ত পণ্যের ওপর ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছেন, যা বিদ্যমান শুল্কের ওপর বাড়তি হার। এর কারণ হিসেবে তিনি চীনের ফেন্টানিল পাচার বন্ধে ব্যর্থতাকে দায়ী করেছেন।

এ ছাড়া, তিনি মেক্সিকো ও কানাডা থেকে আমদানি করা জ্বালানি ছাড়া অন্য সব পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছিলেন, তবে পরে তা এক মাসের জন্য স্থগিত করা হয়।

আগামী ১২ মার্চ থেকে তিনি স্টিল ও অ্যালুমিনিয়ামের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করতে যাচ্ছেন, যা কানাডা, মেক্সিকো, ইইউসহ অন্যান্য দেশের জন্যও প্রযোজ্য হবে।

 

 

এটিভি বাংলা / হৃদয়


by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *