৩৬৯ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দিচ্ছে ইসরায়েল

ডেস্ক রিপোর্ট :
গাজা উপত্যকায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাসের হাতে জিম্মি হিসেবে থাকা তিনজন ইসরায়েলিকে আজ শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) হস্তান্তর করা হবে ইসরায়েলের কাছে। আর এই তিন জিম্মির বিনিময়ে ইসরায়েল তাদের কারাগারে থাকা ৩৬৯ জন ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্ত করে দিতে যাচ্ছে। এই সপ্তাহের শুরুতে প্রায় ভেঙে পড়তে যাওয়া যুদ্ধবিরতি চুক্তির আওতায় ঘটতে যাচ্ছে এই বন্দি বিনিময়ের ঘটনা। খবর এএফপির।

গত ১৯ জানুয়ারিতে হওয়া যুদ্ধবিরতি চুক্তির ধারা লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে আসছে হামাস ও ইসরায়েল একে অন্যের বিরুদ্ধে। আর এ কারণে হামাস জানিয়েছিল, তারা জিম্মি মুক্তির প্রক্রিয়া বন্ধ করে দেবে। অন্যদিকে, ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ হুমকি দিয়েছিল তারা আবারও যুদ্ধ শুরু করে দেবে।

তবে গতকাল শুক্রবার দুপক্ষই সংকেত দেয়, তারা শনিবারের নির্ধারিত বন্দিমুক্তির বিষয়ে সামনে এগিয়ে যাবে।

ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর অফিস থেকে মুক্তি পেতে  যাওয়া তিন জিম্মির নাম জানানো হয়েছে। তারা হচ্ছেন, ইসরায়েলি-মার্কিন নাগরিক সাগুই ডেকেল চেন, ইসরায়েলি-রুশ নাগরিক শাশা ট্রুপানভ এবং ইসরায়েলি-আর্জেন্টাইন নাগরিক ইয়াইর হর্ন। এই তিনজনকে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে অতর্কিত হামলা চালিয়ে অপহরণ করেছিল হামাস।

অন্যদিকে, ফিলিস্তিনি প্রিজনারস ক্লাব জানিয়েছে, ইসরায়েল ৩৬৯ জন ফিলিস্তিনি বন্দিকে তাদের কারাগার থেকে মুক্তি দেবে। এদের মধ্যে ২৪ জনকে দেশ ছাড়তে বাধ্য করা হবে। ফিলিস্তিনি সংগঠনটি জানায়, মুক্তি পেতে যাওয়া ৩৩৩ জন ফিলিস্তিনি বন্দিকে ৭ অক্টোবরের পর গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।

এদিকে, প্রায় ভেঙে পড়তে যাওয়া যুদ্ধবিরতি চুক্তির বিষয়ে গতকাল শুক্রবার হামাস জানায়, তারা আগামী সপ্তাহে দ্বিতীয় ধাপের যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবের বিষয়ে সম্মত হয়েছে।

অন্যদিকে, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও আজ শনিবার ইসরায়েল সফরে আসছেন বলে জানা গেছে। ইসরায়েলের প্রধান মিত্র যুক্তরাষ্ট্র এই যুদ্ধবিরতি প্রক্রিয়ার অন্যতম মধ্যস্থতাকারী দেশ। রুবিও তার সফরে গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রসঙ্গটি নিয়ে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে আলোচনা করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

 

এটিভি বাংলা / হৃদয়


Posted

in

,

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *