সাবমেরিন টাইটানের শেষ মুহূর্তের অডিও প্রকাশ

ডেস্ক রিপোর্ট :
২০২৩ সালের জুন মাসে আটলান্টিক মহাসাগরের অতলে নিখোঁজ হয়েছিল ডুবোজাহাজ টাইটান। পরে সেটির ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পাওয়া যায়। ঘটে মর্মান্তিক প্রাণহানির ঘটনাও। এবার টাইটানের শেষ মুহূর্তের ‘সন্দেহজনক’ এক অডিও প্রকাশ পেয়েছে। কী শোনা গেছে তাতে?

গেল মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) যুক্তরাষ্ট্রের উপকূলরক্ষী বাহিনী টাইটানের ২০ সেকেন্ডের একটি অডিও প্রকাশ করেছে। সেই অডিও-তে ধরা পড়েছে মহাসাগরের গভীরে প্রবল শব্দ। ধারণা করা হচ্ছে, পানির চাপে টাইটান ডুবে যাওয়ার আগের মুহূর্তে এমন শব্দ তৈরি হয়েছিল।

আটলান্টিক মহাসাগরে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে গিয়ে দুর্ঘটনার মুখে পড়েছিল টাইটান ডুবোযান। মৃত্যু হয় পাঁচ আরোহীর। কানাডার পূর্বে নিউ ফাউন্ডল্যান্ডের উপকূলে জাহাজ থেকে আটলান্টিকের গভীরে ডুব দিয়েছিল টাইটান।

মহাসাগরের গভীরে যেখানে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ রয়েছে, অভিযাত্রীদের সেই জায়গা ঘুরে দেখায় টাইটান। ওশানগেট সংস্থার তৈরি ওই ডুবোযান ২০২৩ সালের ১৮ জুন পাঁচ আরোহী নিয়ে সমুদ্রের ১৩ হাজার ফুট গভীরে নেমেছিল। যাত্রা শুরুর ১ ঘণ্টা ৪৫ মিনিট পর থেকেই নিখোঁজ হয়ে যায় টাইটান।
পরে নিখোঁজ ডুবোজাহাজ উদ্ধারের কাজে নামে যুক্তরাষ্ট্র এবং কানাডার উপকূলরক্ষী বাহিনী। উত্তর আটলান্টিক মহাসাগরে চলছিল খোঁজ। উপকূলরক্ষী এবং বিমানবাহিনীর সঙ্গে তল্লাশিতে নেমেছিল রোবটও। সেই রোবটই টাইটানিকের কাছে একটি অন্য যানের ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পায় এবং পরে যুক্তরাষ্ট্রের উপকূলরক্ষী বাহিনী সেটিকে টাইটানের ধ্বংসাবশেষ বলেই চিহ্নিত করে।

 

ডুবোযানটিতে ছিলেন ব্রিটিশ ধনকুবের হামিশ হার্ডিং, পাকিস্তানের ব্যবসায়ী শাহজাদা দাউদ এবং তার ছেলে সুলেমান, ওশানগেট সংস্থার মুখ্য কর্মকর্তা স্টকটন রাশ এবং ফরাসি নাবিক পল হেনরি নারজিওলেট। পাঁচ জনেরই মৃত্যু হয়।

দুর্ঘটনার পরই ছোট ডুবোযান টাইটানের পরিকাঠামো এবং পরিচালন পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। বিতর্কের মধ্যেই পরিচালক সংস্থাটি তাদের ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপন দিয়ে ফের টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে যাওয়ার আহ্বান জানায়। তার খরচ ধরা হয়েছিল ২ লাখ ৫০ হাজার ডলার। যদিও ওই দুর্ঘটনার পর আর কেউই টাইটানে চেপে আটলান্টিকের গভীরে যেতে চাননি।

এটিভি বাংলা / হৃদয়


Posted

in

,

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *