ডেস্ক রিপোর্ট :
দিনাজপুরে টানা শৈত্যপ্রবাহে হিমেল হাওয়ার সাথে কুয়াশায় কারণে কনকনে শীতে জবুথবু মানুষ। গত কয়েকদিন থেকে জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে। তবে বেলা ১০টার দিকে সূর্যের দেখা মেলায় জনমনে ফিরেছে স্বস্তি। কিন্তু হিমেল বাতাসের কারণে কনকনে শীতের কমতি নেই। বিকালের পর থেকে আবারও শীতের তীব্রতা বেড়ে যায়।
সোমবার সকাল ৬টায় তাপমাত্রা ছিল ৬ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর সকাল ৯টায় তাপমাত্রা কমে দাঁড়ায় ৫ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যেটি দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রাও। তীব্র শীত আর টানা শৈত্যপ্রবাহের মাঝে রোদের দেখা পাওয়ায় প্রাণচাঞ্চল্য ফেরে সাধারণ মানুষের মাঝে।
দিনাজপুর শহরের অনন্ত কুমার বলেন, কয়েকদিন থেকে ঠান্ডায় মনে হয় জমে গেছি। আজ সূর্য ওঠায় ভালো লাগছে। কাজকর্ম করতে স্বস্তি লাগছে। কৃষক আব্দুর রহিম বলেন, আলু আর ধানের বীজতলা নিয়ে খুব টেনশনে আছি। রোদ ওঠায় টেনশন কিছুটা কমেছে।
ইজিবাইক চালক ফারুক বলেন, কয়েকদিন থেকে আয়-রোজগার একেবারে নাই বললেই চলে। রোদ ওঠায় শহরে মানুষজনের চলাচল বেড়েছে। আয় কিছুটা বাড়বে।
দিনাজপুর আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, জেলায় তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। সোমবার সকাল ৯টায় দিনাজপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৫ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। এসময় বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ৮৬ শতাংশ। বাতাসের গতি ২ নটস। তিনি আরও জানান, জানুয়ারি মাসজুড়েই জেলায় তাপমাত্রা এরকম থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
এটিভি বাংলা / হৃদয়
Leave a Reply