1. [email protected] : @nexttech :
  2. [email protected] : SM Solaiman : SM Solaiman
রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:১২ পূর্বাহ্ন

শেষ ওভারের নাটকে প্রথম জয়ের দেখা পেল কুমিল্লা

Reporter Name
  • Update Time : মঙ্গলবার, ২৩ জানুয়ারি, ২০২৪
  • ৮৩ Time View

ডেস্ক রিপোর্ট : 
রুদ্ধশ্বাস শেষ ওভারে জয়ের জন্য কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের প্রয়োজন ১৩ রান। শেষ ওভারের প্রথম বলে খুশদিল শাহ রানআউট হলে আরও জমে ওঠে ম্যাচ। তবে, ফরচুন বরিশালের পেসার খালেদ আহমেদের করা ওভারের তৃতীয় বলে ছক্কা ও চতুর্থ বলে চার মেরে ম্যাচ নিজেদের দিকে টেনে নেন কুমিল্লার ব্যাটার ম্যাথু ফোর্ড। পঞ্চম বলে এক রান নিয়ে এক বল বাকি থাকতে দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যান তিনি। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) আজ মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে বরিশালকে চার উইকেটে হারিয়েছে কুমিল্লা।

আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৬১ রান তোলে বরিশাল। জবাবে ১৯.৫ ওভারে ছয় উইকেট হারিয়ে ১৬২ রান করে কুমিল্লা।

চলতি আসরে নিজেদের প্রথম জয়ের দেখা পেয়েছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা। ১৬২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ২৬ রানে দুই ওপেনার লিটন কুমার দাস ও মোহাম্মদ রিজওয়ানকে হারায় দলটি। এদিনও ব্যাট হাতে চূড়ান্ত ব্যর্থ লিটন দাস। ১৮ বলে ১৩ রানের মন্থর ইনিংস খেলে শিকার হন খালেদের। রিজওয়ান কাটাপড়েন দুনিথ ভেল্লালাগের বলে। ভেল্লালাগেকে উেইকেট বিলিয়ে দিয়ে শূন্য রানে ফেরেন তাওহিদ হৃদয়।

কুমিল্লার হাল ধরেন দলটির সাবেক অধিনায়ক ইমরুল কায়েস। টানা দ্বিতীয় ম্যাচে দলের হয়ে ফিফটি করেন তিনি। তার ৪২ বলে চারটি চার ও তিন ছক্কায় খেলা ৫২ রানের ইনিংসটি জাগিয়ে রাখে কুমিল্লার আশা। তাকে ফেরান আব্বাস আফ্রিদি। ১৩ রান করে ভেল্লালাগের বলে আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন রোস্টন চেজ।

শেষ দিকে জমে ওঠে খেলা। চার ওভারে ৪৭ রান প্রয়োজন হয় কুমিল্লার। জাকের আলির ২০ বলে অপরাজিত ২৩ ও খুশদিলের সাত বলে ১৪ রান কুমিল্লার আশার পারে হাওয়া দেয়। পোর্ডের চার বলে অপরাজিত ১৩ রান পূর্ণতা দেয় সেই হাওয়ায়। কুমিল্লা পায় জয়ের দেখা।

বরিশালের পক্ষে তিন উইকেট শিকার করেন ভেল্লালাগে। একটি করে উইকেট পান খালেদ ও আফ্রিদি।

এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নামা বরিশাল শুরুতেই হারায় মেহেদী হাসান মিরাজের উইকেট। মেকশিফট ওপেনার হিসেবে নামা মিরাজ মুখোমুখি হওয়া প্রথম বলেই ফেরেন প্যাভিলিয়নে। তানভীর ইসলামের বলে জাকের আলির তালুবন্দি হন শূন্য রানে। আরেক ওপেনার তামিম ইকবালের ব্যাট থেকে আসে ১৯ রান। তানভীরের ক্যাচ বানিয়ে তাকে ফেরান চেজ। ভালো করতে পারেননি প্রীতম কুমারও। আট রান করে চেজের বলে মোহাম্মদ ‍রিজওয়ানের ক্যাচে পরিণত হন তিনি।

৪৩ রানে তিন উইকেট হারিয়ে বিপর্যয়ে পড়ে বরিশাল। মুশফিকুর রহিম ও সৌম্য সরকার মিলে বিপদ সামাল দেন। দুজনের জুটিতে আসে ৬৬ রান। দলীয় ১০৯ রানে সৌম্যকে বোল্ড করে জুটি ভাঙেন মুস্তাফিজুর রহমান। ৩১ বলে চারটি চার ও দুটি ছয়ে ৩১ রান করেন সৌম্য।

কুমিল্লার নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে এরপর দ্রুত আরও তিন উইকেট হারায় বরিশাল। এক প্রান্ত আগলে রেখে দলের রানের চাকা সচল রাখেন মুশফিক। টানা দ্বিতীয় ম্যাচে অর্ধশতক তুলে নেন তিনি। শেষ পর্যন্ত তার ইনিংসটি থামে ৪৪ বলে ৬২ রানে। ছয়টি চার ও দুটি ছয়ে সাজানো ইনিংসটি থামান মুস্তাফিজ। মিড অনে রিজওয়ানের ক্যাচে পরিণত হন মুশফিক। তবে, তার ইনিংসেই দল পায় লড়াইয়ের পুঁজি।
কুমিল্লার পক্ষে ম্যাথু ফোর্ড ও রোস্টন চেজ।

এটিভি বাংলা / হৃদয়

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© 2022
কারিগরি সহায়তা: Next Tech