গাজায় তীব্র পর্যায়ের যুদ্ধ শিগগিরই শেষ হবে : ইসরায়েল

ডেস্ক রিপোর্ট :
জাতিসংঘ প্রধান অবিলম্বে মানবিক যুদ্ধবিরতির অনুরোধ জানানোর পরিপ্রেক্ষিতে ইসরায়েল বলেছে, গাজার দক্ষিণাঞ্চলে হামাসের বিরুদ্ধে তাদের তীব্র পর্যায়ের যুদ্ধ শিগগিরই শেষ হবে। সোমবার (১৫ জানুয়ারি) এ কথা বলেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট।

এদিকে, অক্টোবরে হামলার সময় অপহৃত ইসরায়েলি বন্দিদের মধ্যে দুজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে হামাস। ‘নিরীহ জিম্মিদের ওপর নৃশংস নির্যাতন চালানোর’ নিন্দা করেছে ইসরায়েল।

৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার পর থেকে ইসরায়েলি বাহিনীর প্রতিশোধমূলক বিমান ও স্থল হামলায় গাজা উপত্যকা ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়ে পড়েছে। হামাসকে ধ্বংস করার প্রতিশ্রুতি নিয়ে ইসরায়েল অবিরাম ও নির্বিচার হামলা চালিয়ে গাজায় কমপক্ষে ২৪ হাজার ১০০ লোককে হত্যা করেছে। এদের বেশির ভাগই মহিলা ও শিশু। হামাস নিয়ন্ত্রিত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় নিহতদের এ সংখ্যা প্রকাশ করেছে।

গাজার উত্তরাঞ্চলে হামাসের সামরিক কাঠামো ভেঙে ফেলার ঘোষণা দেওয়ার পর সেনাবাহিনী সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে দক্ষিণের খান ইউনিস ও রাফাহ শহরে অভিযান এবং বোমাবর্ষণ জোরদার করেছিল।

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘দক্ষিণ গাজায় প্রায় তিন মাস ধরে চলা ‘তীব্র পর্যায়ের যুদ্ধ শিগগিরই শেষ হবে।’

ইয়োভ গ্যালান্ট বলেন, ‘দক্ষিণ গাজা থেকে ইতোমধ্যে উত্তর গাজায় সৈন্য সরিয়ে আনা হচ্ছে।’

সোমবার ইসরায়েলি সেনাবাহিনী নিশ্চিত করেছে, তাদের চারটি ডিভিশনের মধ্যে একটি প্রত্যাহার করা হয়েছে।

ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু যুদ্ধ আরও কয়েক মাস ধরে চলবে, এ কথা বলার একদিন পর মন্ত্রিসভা যুদ্ধের ব্যয় মেটাতে অতিরিক্ত ১৫ বিলিয়ন ডলারসহ ২০২৪ এর একটি সংশোধিত বাজেট অনুমোদন করেছে।

জাতিসংঘ বলেছে, তিন মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা সংঘাত গাজার জনসংখ্যার প্রায় ৮৫ শতাংশ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। বাস্তুচ্যুতরা আশ্রয়কেন্দ্রে ভিড় করছে এবং খাদ্য, পানি, জ্বালানি এবং চিকিৎসা সেবার জন্য লড়াই করছে।

ইসরায়েল গাজার মানবিক সংকট এবং ক্রমবর্ধমান বেসামরিক হতাহতের সংখ্যা নিয়ে ব্যাপক আন্তর্জাতিক চাপের সম্মুখীন হচ্ছে। অঞ্চলটির হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় রোববার ও সোমবার রাতে বোমাবর্ষণে ৬০ জন নিহত হওয়ার খবর দিয়েছে।

ইসরায়েল অধিকৃত পশ্চিম তীরে মারাত্মক সহিংসতা, লেবাননের সঙ্গে সীমান্তে ইসরায়েলের গুলি বিনিময় এবং লোহিত সাগরে মার্কিন বাহিনী এবং ইরান সমর্থিত ইয়েমেনি বিদ্রোহীদের হামলায় যুদ্ধ গাজা উপত্যকা ছাড়িয়ে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

জাতিসংঘ প্রধান অ্যান্তোনিও গুতেরেস সোমবার ‘যেখানে প্রয়োজন সেখানে পর্যাপ্ত ত্রাণ পৌঁছে দেওয়া নিশ্চিত করতে, জিম্মিদের মুক্তির সুবিধার্থে এবং বৃহত্তর যুদ্ধের আগুন নেভাতে’ গাজায় একটি মানবিক যুদ্ধবিরতির আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেছেন।

এটিভি বাংলা / হৃদয়


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *