ডেস্ক রিপোর্ট :
তৃতীয় দিনের মতো ঘনকুয়াশায় ঢাকা দিনাজপুর। চলছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। চলমান শৈত্যপ্রবাহে নাকাল দিনাজপুরের বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষ। রাতভর বৃষ্টির মতো ঝরছে কুয়াশা। সেই সাথে বইছে হিমেল হাওয়া। প্রায় সপ্তাহ ধরে সূর্যের দেখা মিলছে না। হেডলাইট জ্বালিয়ে চলছে দূরপাল্লার যানবাহন।
দিনভর ঠাণ্ডা বাতাসে কাবু হয়ে পড়ছে জনজীবন। তীব্র শীতের কারণে বেড়েছে ঠাণ্ডাজনিত রোগবালাই ও ডায়ারিয়ার প্রকোপ। হাসপাতালগুলোতে ভিড় বেড়েছে ঠাণ্ডায় আক্রান্ত রোগীদের। এ অঞ্চলের মানুষের পাশাপাশি গবাদীপশুগুলো কনকনে ঠাণ্ডা আর হিমেল হাওয়ায় কাহিল হয়ে পড়েছে। ঘন কুয়াশা ও প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় নাকাল হয়ে পড়েছে গবাদীপশুগুলো। এসব গাবাদীপশু নিয়ে বিপাকে খামারিসহ কৃষকরা।
দিনাজপুরে সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৫ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। এ আবহাওয়া আরও দুই-তিন দিন থাকতে পারে বলে জানায় আবহাওয়া অফিস।
এদিকে, কনকনে শীতে বিপর্যস্ত জনজীবন। শীতের সকালে ছিন্নমূল আর গ্রামীণ মানুষ খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন খেটে খাওয়া শ্রমজীবী ও বয়স্ক মানুষ।
রানীরবন্দর বাসস্ট্যান্ডে রিকশাভ্যান চালক রবিউল ইসলাম ও ইজিবাইক চালক গোলাম মোস্তফা জানান, ঠাণ্ডা কমছে না। বরং বাড়ছে। হামার গরিব মানুষের যত জ্বালা। জার (ঠাণ্ডা) সহ্য হয় না। বাড়িত বসিও থাকা যাচ্ছে না। গরিব মানুষ বাড়িত বসি থাকিলে কে খাবার দিবে। বাইর হইছি, যা কামাই (আয়) হচে, গাড়ির জমা দিয়া কিছু থাকে না। দিন চলা কঠিন হয়া (হয়ে) গেইছে। হিমশীতল বাতাস আর ঠাণ্ডার কারণে কাহো (কেউ) (হামার) আমাদের গাড়িত উঠির (উঠতে) চাছে (চাচ্ছে) না।
সুইহারী এলাকার বৃদ্ধ বেলাল হোসেন বলেন, যে শীত পড়ছে আমাদের মতো বৃদ্ধদের জন্য খুব কষ্ট হয়ে গেছে। বাইরে চলাফেরাই করতে পারছি না।
দিনাজপুর আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান বলেন, শনিবার থেকে জেলায় চলছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। সোমবার দিনাজপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ৯৭ শতাংশ। আরও দুই-তিন দিন এ ধরনের আবহাওয়া চলমান থাকতে পারে। চলতি সপ্তাহের শেষে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান তিনি। বৃষ্টি হলে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে।
এটিভি বাংলা /হৃদয়
Leave a Reply