ডেস্ক রিপোর্ট :
লালমনিরহাটে তীব্র শীত, ঘন কুয়াশা আর কনকনে ঠাণ্ডায় বিপাকে মানুষ। বিশেষ করে দিনমজুর ও খেটে খাওয়া মানুষ কষ্টে দিন পার করছেন। শীতের প্রকোপ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে পুরনো গরম কাপড়ের বিক্রি।
শহর ও গ্রাম অঞ্চলে বিভিন্ন জায়গায় রাস্তার পাশে অস্থায়ী পুরনো কাপড়ের দোকানগুলোতে সারা দিন ভিড় লেগেই থাকে। কম দামে ভালো মানের গরম কাপড় কিনতে পেরে সাধারণ মানুষ খুশি। পাশাপাশি দোকানগুলোতে বিক্রি বেড়ে গেছে।
মঙ্গলবার সকালে লালমনিরহাট জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সরেজমিন হাতীবান্ধা উপজেলার গড্ডিমারী ইউনিয়নের তিস্তা সাধুর বাজার এলাকায় দেখা গেছে, একটি পুরাতন কাপড়ের দোকানে ভিড় করছেন দিনমজুর ও ভ্যান চালকরা। তারা শীত নিবারণের জন্য কম টাকা দিয়ে জ্যাকেট ও সোয়েটার কেনার চেষ্টা করছেন।
এদিকে, উষ্ণতা পেতে মানুষ ভিড় করছেন ফুটপাতের হকার ও পুরাতন গরম কাপড়ের দোকানগুলোতে। কিনছেন সোয়েটার, জ্যাকেট, হুডি, ব্লেজার, শাল, কানটুপি ও হাত মোজা। পুরাতন কাপড় ব্যবসায়ীরা ঢাকা ও রংপুর থেকে পুরাতন কাপড়ের বান্ডিল (বেল) কিনে তিস্তার চর অঞ্চলে বিক্রি করেন। পুরাতন কাপড়ের দাম কম, তাই নিম্ন আয়ের মানুষ কম দামে কাপড় কিনছেন।
রিকশাচালক রফিকুল ইসলাম বলেন, পুরাতন গরম কাপড়ের দোকানে এসেছি, তাই এই ঠাণ্ডায় একটি কম দামে জ্যাকেট কিনছি। জ্যাকেট পরে ভ্যান চালালে শীত বেশি লাগবে না।
পুরাতন কাপড় ব্যবসায়ী হোসেন আলী বলেন, গত কয়েকদিন থেকে এ এলাকায় প্রচুর শীত নেমেছে। গরম কাপড়ও বিক্রি হচ্ছে। ৩০০ থেকে ৪০০ টাকার মধ্যে একটি ভালো জ্যাকেট পাওয়া যায়। সোয়েটার ১০০ থেকে ১৫০ টাকায় পাওয়া যায়। তাই পুরাতন কাপড়ের দোকানে মানুষ ভিড় জমায়।
এ বিষয়ে লালমনিরহাট সিভিল সার্জন নির্মলেন্দু রায় বলেন, এই তীব্র ঠাণ্ডায় শিশু ও বয়স্করা সাবধানতা অবলম্বন করবে। শিশুদের নিউমোনিয়া ও বয়স্কদের শ্বাসকষ্ট হতে পারে। তাই এই শীতে সবাইকে গরম কাপড় পরিধান করতে হবে। স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে সাধারণ মানুষকে সচেতনতা বিষয়ক লিফলেট প্রদান করা হচ্ছে।
এটিভি বাংলা / হৃদয়
Leave a Reply