গাজায় ইসরায়েলের ১৩৬ যুদ্ধযান ধ্বংসের দাবি হামাসের

ডেস্ক রিপোর্ট :
গত ২৮ অক্টোবর থেকে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় স্থল হামলা শুরু করেছে ইসরায়েল। এরপর থেকে রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত অবরুদ্ধ ওই ভূখণ্ডে ইসরায়েলি বাহিনীর ১৩৬টি যুদ্ধযান ধ্বংস করা হয়েছে বলে দাবি করেছে স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের সামরিক শাখা আল কাসেম ব্রিগেড।

হামাসের সমর্থক ফিলিস্তিনি টেলিভিশন চ্যানেল আল আকসা টিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এই দাবি করেন ব্রিগেডের মুখপাত্র আবু উবেইদা।

ইসরায়েলের বিমান হামলার কারণে জিম্মিদের মুক্তি প্রক্রিয়াও বাধাগ্রস্ত হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

বুধবার আল আকসা টিভিকে উবেইদা বলেন, “ইসরায়েলি স্থলবাহিনী অভিযান শুরুর পর থেকে আমরা তাদের ১৩৬টি যুদ্ধযান ধ্বংস করেছি। এগুলোর অধিকাংশই সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করা হয়েছে।”

তিনি আরো বলেন, “জিম্মিদের নিয়ে আসার পেছনে আমাদের সুনির্দিষ্ট উদ্দেশ্য ছিল এবং আমর তা জানিয়েছি। আমরা বলেছি যে ইসরায়েলের কারাগারে বন্দি ফিলিস্তিনিদের মুক্তি দেওয়া হলে আমরা জিম্মিদেরও মুক্তি দিবো।”

হামাস নেতা বলেন, “আমরা নিজেদের সদিচ্ছা বোঝাতে ইতোমধ্যে ১২ জন জিম্মিকে ছেড়েও দিয়েছি। কিন্তু ইসরায়েলি বাহিনী যেভাবে প্রতিদিন বোমা হামলা করছে, তা আসলে এই জিম্মিদের মুক্তিদান প্রক্রিয়ায় সবচেয়ে বড় বাধা।”

ইসরায়েলি বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার সংকল্প জানিয়ে আবু উবেইদা বলেন, “ইসরায়েলি বাহিনীর বিধ্বংসী হামলা ও ধ্বংসলীলা সত্ত্বেও আল কাসেম ব্রিগেডের যোদ্ধার এখনও তাদের সঙ্গে সাহসের সঙ্গে লড়ছে এবং পয়েন্ট ব্ল্যাংক রেঞ্জে এই লড়াই চলছে। এটা চলতে থাকবে।”

উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে অভ্যন্তরে অতর্কিত হামলা চালায় হামাস যোদ্ধারা। এতে দেড় হাজারের বেশি ইসরায়েলি নাগরিক ও সেনা সদস্য নিহত হয়। একই সঙ্গে প্রায় আড়াইশ’ ইসরায়েলি ও বিদেশি নাগরিককে জিম্মি হিসেবে গাজায় নিয়ে যায় হামাস যোদ্ধারা।

জবাবে ওই দিন থেকেই গাজায় বোমা হামলা শুরু ইসরায়েল। পরে ২৮ অক্টোবর শুরু হয় স্থল হামলা। ইসরায়েলের হামলায় গাজায় নিহতের সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।

এটিভি বাংলা / হৃদয়


Posted

in

,

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *