মার্কিন ভিসা নীতির পর থেকে বিএনপির মাথা বেশি খারাপ হয়েছে

ডেস্ক রিপোর্ট :
বাংলাদেশের আগামী জাতীয় নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য ও নিরপেক্ষ হওয়ার ক্ষেত্রে বাধাদানকারী এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের ভিসা না দেওয়ার বিষয়ে একটি নীতি ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এ ভিসা নীতি ঘোষণার পর থেকেই বিএনপির মাথা বেশি খারাপ হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। আজ শনিবার (১০ জুন) সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার সিরাজুল ইসলাম ডিগ্রি কলেজ মাঠে এক শোকসভায় এ মন্তব্য করেন তিনি।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপির এখন দুই ভীতি। একটা হচ্ছে নির্বাচন, আরেকটা হচ্ছে মানুষ। সেজন্য বিএনপি মহাসচিবসহ তাদের নেতাদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। বিশেষ করে নতুন মার্কিন ভিসা নীতি ঘোষণার পর বিএনপির মাথা আরও বেশি খারাপ হয়েছে।’

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাচনে আসুন। অংশগ্রহণ করে আপনাদের জনপ্রিয়তা যাচাই করুন। আপনারা দশ শতাংশ ভোট পান কি না সেটি পরখ করে দেখুন।’

বিএনপিকে কেন মানুষ ভোট দেবে প্রশ্ন রেখে আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিএনপি সাড়ে তিন হাজার মানুষ পুড়িয়েছে। তার মধ্যে পাঁচশ মানুষ আগুনে পুড়ে মারা গেছে। চার হাজারের মত গাড়ি পুড়িয়েছে। মানুষের সম্পত্তি জ্বালিয়ে দিয়েছে। পুলিশের ওপর হামলা পরিচালনা করেছে। এ জন্য তারা মানুষের কাছে যেতে ভয় পায়।’

আওয়ামী লীগের তৃণমূলের নেতাদের সঙ্গে অন্যদের পার্থক্য আছে জানিয়ে মাহমুদ বলেন, ‘এখন অনেকেই রেডিমেড নেতা হতে চায়, টাকা দিয়ে রাজনীতি কিনতে চান। আওয়ামী লীগের রাজনীতি কখনও টাকার কাছে বিক্রি হয় না, হবে না এবং বিক্রি হতে দেব না। রেডিমেড নেতা হওয়ার জন্য আওয়ামী লীগ নয়। সেখানেই হচ্ছে আওয়ামী লীগের সঙ্গে বিএনপি কিংবা জাতীয় পার্টির পার্থক্য।’

মন্ত্রী বলেন, ‘সামনে নির্বাচন, অনেক প্রার্থী আসবে নানা ধরনের কথা বলবে, তাদেরকে জিজ্ঞেস করবেন, আমরা যে রাস্তাগুলো করেছি সেগুলোতে গর্ত হলে তারা ভরাট করতে পারবে কি না। যাদের গর্ত ভরাট করার যোগ্যতা নেই তারা নানা সমালোচনা করে। আমাদের করা রাস্তা দিয়ে ফোরহুইল গাড়ি চালিয়ে গিয়ে বলে, কোনো উন্নয়ন হয়নি। যারা এরকম বলবে, তাদেরকে গাড়ি থেকে নামিয়ে দিয়ে বলতে হবে, আগের মতো কাদা মাড়িয়ে হেঁটে যাও।’

এটিভি বাংলা / হৃদয়


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *