নিজের ছেলের বিরুদ্ধে মিথ্যাচারের প্রতিবাদেই তিনি নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন জায়েদা খাতুন

ডেস্ক রিপোর্ট :
গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন স্বতন্ত্র পার্থী জায়েদা খাতুন। তিনি সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের মা। নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা হওয়ার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় জায়েদা খাতুন বলেছেন, নিজের ছেলের বিরুদ্ধে মিথ্যাচারের প্রতিবাদেই তিনি নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। তিনি গাজীপুরের মানুষের ভালোবাসা প্রমাণ করতেই ভোটে এসেছেন। ভোট সুষ্ঠু হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও গাজীপুরবাসীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি।

গতকাল বৃহস্পতিবার (২৬ মে) দিনগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে নিজ বাড়িতে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে নবনির্বাচিত মেয়র জায়েদা খাতুন এসব কথা বলেন।

জায়েদা খাতুন বলেন, ‘আমি আমার ছেলের (জাহাঙ্গীর আলম) কোনো মিথ্যা পাই নাই। কখনও কোনো জিনিস লুকিয়ে রাখেনি। ছেলে যা আনে, এর চেয়ে বেশি সব খরচ করে। তার বিরুদ্ধে মিথ্যার প্রতিবাদে আমার ভোটে আসা।’

গাজীপুর সিটির প্রথম এই নারী মেয়র বলেন, ‘যে গাজীপুরের মানুষকে এত ভালোবেসেছি, তারা আমাকে কী রকম ভালোবাসে? এই ভালোবাসাটা প্রমাণ করার জন্য এসেছি। গাজীপুরবাসী সবাইকে শুভেচ্ছা, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেও শুভেচ্ছা। আমি তাঁকে ধন্যবাদ জানাই। ভোট সুষ্ঠু হয়েছে, আমি আমার ভোটের হিসাব পেয়েছি। এজন্য আমি প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই।’

ঘোষিত ফলাফলে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত জায়েদা খাতুনের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম গাজীপুর সিটির সাবেক মেয়র। মনোনয়নপত্র দাখিল করার আগে জায়েদা খাতুনকে রাজনীতির মাঠে দেখা যায়নি। মূলত ছেলে জাহাঙ্গীর আলমের ইমেজকে ভিত্তি করেই তিনি রাজনীতিতে আসেন। জাহাঙ্গীর আলম গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদকও। তিনি সিটি মেয়র হিসেবে পুরো মেয়াদকাল দায়িত্ব পালন করতে পারেননি।

গতকাল বৃহস্পতিবার (২৫ মে) দিনগত রাত দেড়টার দিকে গাজীপুর বঙ্গতাজ পৌর অডিটোরিয়ামে ফলাফল সংগ্রহ ও পরিবেশন কেন্দ্রে নির্বাচনের ফল ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. ফরিদুল ইসলাম।

ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী টেবিল ঘড়ি প্রতীক নিয়ে জায়েদা খাতুন পেয়েছেন দুই লাখ ৩৮ হাজার ৯৩৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ও আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের মেয়র প্রার্থী মো. আজমত উল্লা খান দুই লাখ ২২ হাজার ৭৩৭ ভোট পেয়েছেন।

এটিভি বাংলা / হৃদয়


Posted

in

,

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *