রাতের মধ্যেই নামিয়ে ফেলা হবে মহাবিপদ সংকেত

ডেস্ক রিপোর্ট :

ঘূর্ণিঝড় মোখা বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রম করার পরই রাতের মধ্যে কক্সবাজারসহ অন্যান্য বন্দরের মহাবিপদ সংকেত নামিয়ে ফেলা হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর।

রবিবার সন্ধ্যায় আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক এ তথ্য জানান।

আবহাওয়াবিদ নাজমুল হক বলেন, ‘অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখার অগ্রভাগ আজ সকাল ৬টায় বাংলাদেশের কক্সবাজার এবং মিয়ানমার উপকূল অতিক্রম শুরু করে। পরে বিকেল ৩টায় ঘূর্ণিঝড়ের মূলকেন্দ্র স্থলভাগে ওঠে। ক্রমান্বয়ে ঘূর্ণিঝড়ের পেছনের অংশ উপকূলে ওঠা প্রায় সম্পন্ন করেছে। এটি আরও কিছুক্ষণ পরে পুরোপুরি বাংলাদেশের স্থলভাগ অতিক্রম করবে। স্থলভাগে এটি বৃষ্টি ঝরিয়ে ক্রমান্বয়ে দুর্বল হয়ে যাবে।’

তিনি বলেন, রাতেই মহাবিপদ সংকেত নামিয়ে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেওয়া হবে। কাল যদি পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসে, তখন সিগন্যাল তুলে নেওয়া হতে পারে। মূলত পরিস্থিতি ফেভার করলে সিগন্যাল কমানো হবে। তা না হলে থাকবে।’

এদিকে, ঘূর্ণিঝড় মোখায় কক্সবাজার জেলায় প্রায় ১০ হাজার ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে সেন্টমার্টিন দ্বীপে বিধ্বস্ত হয়েছে ১২০০ বাড়িঘর।

কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক এই তথ্য জানিয়েছেন।

মোখার কারণে সেন্টমার্টিন দ্বীপে অনেক ঘরবাড়ি ভেঙ্গে পড়েছে এবং গাছপালা উপড়ে পড়েছে বলে জানা যাচ্ছে।

সেন্টমার্টিন দ্বীপের বাসিন্দা মো. আজিজ রবিবার বিকালে জানান, পুরো দ্বীপে লণ্ডভণ্ড অবস্থা। টিনের, বাঁশের হালকা ঘরবাড়িগুলো উড়ে গেছে। টিন, কাঠ, বাঁশ ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। জায়গায় জায়গায় নারকেল গাছ, বিভিন্ন ধরনের গাছ উপড়ে পড়ে আছে।

জেটির কাছে যে হোটেল- রেস্তোরাগুলো ছিল, সেগুলোর বেশিরভাগই ভেঙ্গে পড়েছে বলে তিনি জানান।

এদিকে, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব কমে যাওয়ায় কক্সবাজারের আশ্রয় কেন্দ্র থেকে মানুষজন বাড়িঘরে ফিরতে শুরু করেছেন

এটিভি বাংলা / হৃদয়


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *