ডেস্ক রিপোর্ট :
পাবনার ঈশ্বরদীতে শনিবার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা চলতি বছরে জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। এছাড়াও প্রতিদিনই বাড়ছে তাপমাত্রা। এতে চরম বিপাকে পড়েছে নিম্ন আয়ের বা খেটে খাওয়া লোকজন। গরমের প্রভাবে পাশাপাশি চরম দুশ্চিন্তায় রয়েছেন পাবনার ফল বাগান মালিকরা।
আবহাওয়া অফিস বলছে, পাবনার ঈশ্বরদীসহ বিভিন্ন উপজেলারয় তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। প্রচণ্ড রোদের তীব্রতা ও গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা। এই গরমে শিশু ও বয়স্করা অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। এদিকে পাবনার অন্যতম অর্থকরী ফল লিচু ও আমের ফলন বিপর্যয়ের আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
জানা গেছে, প্রচণ্ড তাপদাহ ও চৈত্রের খরায় প্রতিদিন গাছ থেকে ঝরে পড়ছে অপরিপক্ক আম ও লিচুর গুটি। কেউ কেউ বিকল্প পন্থায় পানি দিয়ে চেষ্টা করছেন এসব লিচু ও আম টিকিয়ে রাখতে। লিচু ও আম নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় রয়েছেন পাবনা ও ঈশ্বরদীর চাষিরা। কৃষকরা জানান, যখন মুকুল থেকে লিচু গুটি হতে শুরু করে, তখন থেকেই প্রচণ্ড গরমে গুটিগুলো ঝড়তে শুরু করেছে।
কৃষি বিভাগ জানায়, গত কয়েক বছর ধরে ৪ থেকে ৫ শত কোটি টাকার লিচুর উৎপাদন হয় শুধু পাবনা ও ঈশ্বরদীতে। চলতি মৌসুমে এমন আশা থাকলেও বৈরী আবহাওয়ার কারণে চাষিরা চরম দুশ্চিন্তার মধ্যে দিনাতিপাত করছেন।
পাবনা সদরের দাপুনিয়া গ্রামের লিচু চাষি আলী আকবর বলেন, গত বছরে কিছুটা লোকশানের মুখে পড়ায় ভাবছিলাম এবার কিছুটা লাভবান হবো। কিন্তু তাপদাহে গাছ থেকে কাঁচা লিচুর গুটি ঝরে পড়ছে প্রতিদিন। এতে কি আছে ভাগ্যে, বুঝতে পারছি না।
ঈশ্বরদী উপজেলা কৃষি অফিসার মিতা সরকার জানান, আমাদের হিসেব অনুযায়ী এবারও ভালো ফলনের আশা ছিল। এখন গরমে ও খরায় লিচুর গুটি ঝরে পড়ছে। ফলে লিচুর ফলন গতবারের চেয়ে কম হবে বলেই ধারণা করা হচ্ছে।
তবে ঈশ্বরদী উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্য মতে, এবার পাবনায় প্রায় ৫ হাজার হেক্টর জমিতে লিচু আবাদ হলেও শুধুমাত্র ঈশ্বরদীতেই ৩১০০ হেক্টর জমিতে লিচুর আবাদ হয়েছে। গাছের সংখ্যা ৫ লাখেরও বেশি। এদিকে মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রায় রাস্তাঘাটে লোকজনের চলাচলও কমে গেছে।
পাবনা ঈশ্বরদী আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক নাজমুল হক জানান, চলতি মৌসুমে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা প্রবাহিত হচ্ছে এসব এলাকায়। বাতাসে গরমের মাত্রা এতোটাই বেশি যে, দিনের বেলায় অনেকেই বাইরে কাজেও বের হচ্ছেন না।
এটিভি বাংলা / হৃদয়
Leave a Reply