স্পোর্টস ডেস্ক :
লিওনেল মেসির ক্যারিয়ারে একটাই অপূর্ণতা ছিল। বিশ্বকাপের সোনালি আভায় নিজেকে রাঙাতে না পারার আফসোসে পুড়ছিলেন তিনি। সেই আক্ষেপ মিটিয়েছেন রাজার মতো খেলে। বিশ্বকাপ যাত্রা শেষে প্রায় সবাই প্রায় ধরেই নিয়েছিল মেসি থামবেন এবার। তখনই তিনি জানালেন, এখনই থামছেন না। আর্জেন্টিনার তিন তারকা জার্সিতে আরও খেলতে চান।
সেই ইচ্ছে পূরণ হয়েছে ক্ষুদে জাদুকরের। বিশ্বকাপ জয়ের পর প্রথমবার দেশের জার্সিতে খেলতে নেমেছেন দেশের মানুষের সামনে। খেলতে নেমেই দুই ম্যাচে করলেন দুটো অসাধারণ অর্জন। এমনটিই জানিয়েছে ক্রীড়া বিষয়ক জনপ্রিয় ওযেবসাইট ইএসপিএন। আজ বুধবার (২৯ মার্চ) কুরাসাওয়ের বিপক্ষে ম্যাচ শেষে এক প্রতিবেদনে তারা জানায়, ‘টানা দুই ম্যাচে অসাধারণ দুটি মাইলফলক স্পর্শ করেছেন মেসি।’
থামার বদলে বিশ্বকাপ যেন মেসির মধ্যে এনে দিয়েছে নতুন করে তারুণ্যের উদ্দীপনা। ২৪ মার্চ পানামার বিপক্ষে প্রথম প্রীতি ম্যাচে ৮৯ মিনিটে ফ্রি-কিক থেকে চোখ জুড়ানো গোল করেন মেসি। এক গোলে স্পর্শ করেন স্বীকৃত ফুটবলে ক্লাব ও জাতীয় দল মিলিয়ে ৮০০ গোলের মাইলফলক। সেই ম্যাচের গোল ছিল জাতীয় দলে মেসির ৯৯ তম আন্তর্জাতিক গোল।
আজ বুধবার (২৯ মার্চ) কুরাসাওয়ের সঙ্গে দ্বিতীয় ম্যাচের আগে আলোচনায় জয় ছাপিয়ে মেসি। কুরাসাওয়ের বিপক্ষে তিনি গোল পাবেন তা জানা ছিল সবার। ম্যাচের ২০ মিনিটে কুরাসাওয়ের ডি-বক্সে দুই ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে ডান পায়ে চমৎকার গোল করেন ক্ষুদে জাদুকর। পেয়ে যান দেশের জার্সিতে প্রথম আর্জেন্টাইন হিসেবে ১০০ আন্তর্জাতিক গোলের দেখা।
প্রথমার্ধের ৩৩ ও ৩৭ মিনিটে আরও দুটো গোল করে দেশের জার্সিতে পান নিজের নবম হ্যাটট্টিক। বিশ্বকাপ জয়ের পর মেসির সবকিছুই কোনো না কোনোভাবে বিশেষ কিছু হয়ে যাচ্ছে। এই হ্যাটট্টিকটি যেমন জাতীয় দলের বাকি আট হ্যাটট্টিক থেকে আলাদা। নিজের মাইলফলকে পৌঁছানোকে পূর্ণতা দিলেন অনবদ্য এই হ্যাটট্টিকে।
এটিভি বাংলা / হৃদয়
Leave a Reply