তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ২১ হাজার হয়েছে, তবে জাতিসংঘ বলেছে এই বিপর্যয়ে কত ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা এখনও পরিষ্কার নয়। খবর বিবিসি ও আল-জাজিরার।
উদ্ধারকর্মীরা ধ্বংসস্তুপের ভেতর থেকে জীবিতদের উদ্ধারে এখনও তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন তবে ভূমিকম্পের আঘাত হানার পর ১০০ ঘণ্টা পার হয়ে যাওয়ায় মানুষের বেঁচে থাকার আশা ক্ষীণ হয়ে আসছে।
আশ্রয়, পানি ও খাবার ছাড়া হাজার হাজার বেঁচে যাওয়া মানুষের জন্য হুমকি হয়ে দেখা দিয়েছে প্রচণ্ড ঠাণ্ডা আবহাওয়া।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান এই ভূমিকম্পকে শতাব্দীর সবচেয়ে বিধ্বংসী বিপর্যয় হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
এদিকে, আন্তর্জাতিক ত্রাণ তৎপরতা ধীরে ধীরে গতি পাচ্ছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) বিশ্বব্যাংক তুরস্কের ক্ষতিগ্রস্ত অবকাঠামো পুনর্নির্মাণে তাৎক্ষণিক অর্থসহায়তা হিসেবে ১ দশমিক ৭৮ বিলিয়ন ডলার সাহয্যের অঙ্গীকার করেছে।
অন্যদিকে, যন্ত্রপাতির অভাব, পরিবহণ সঙ্কট ও ভেঙে যাওয়া রাস্তার কারণে প্রায় এক লাখ উদ্ধারকর্মী তাদের উদ্ধার কাজ করতে নানা প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হচ্ছেন।
জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, এই দুর্যোগের পুরো চিত্র এখনও চোখে দেখা যাচ্ছে না। বিশেষ করে গৃহযুদ্ধে বিপর্যস্ত সিরিয়ার ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে এখনও ধারনা পাওয়া যায়নি।
গতকাল বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের মানবিক সহায়তার প্রথম চালানটি ইদলিবের বাব আল-হাওয়া ক্রসিং দিয়ে সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে প্রবেশ করেছে। এই ক্রসিংটি দিয়ে সিরিয়া সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে থাকা এলাকায় প্রবেশ করা যায়।
Leave a Reply