ইউক্রেনের ডনবাস অঞ্চলে রাশিয়ার ভাগনার বাহিনীর হামলা অব্যাহত রয়েছে। সেনাবাহিনীর প্রধান কিয়েভের ওপর হামলার আশঙ্কা করছেন। প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি আরও অস্ত্রের জন্য আবেদন করছেন।
অর্থোডক্স ক্রিসমাস উৎসবের সময় রাশিয়ার একতরফা যুদ্ধবিরতির ঘোষণা সত্ত্বেও বাস্তবে সে দেশ হামলা চালিয়ে গেছে। উৎসবের পরেও হামলা অব্যাহত রয়েছে। ইউক্রেনের পূর্ব বাখমুত শহরের কাছে সোলেদারের ওপর রাশিয়ার ভাগনার ভাড়াটে বাহিনীর নেতৃত্বে জোরালো হামলা চলছে। বাখমুত ও সোলেদার শহরের তেমন কৌশলগত গুরুত্ব না থাকা সত্ত্বেও ভাগনার গ্রুপের এমন আচরণ নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। রাশিয়ার সেনাবাহিনীর সঙ্গে এই ভাড়াটে বাহিনীর সমন্বয়ের অভাব নিয়েও সমালোচনা শোনা যাচ্ছে।
ইউক্রেনীয় বাহিনী শহরটির ওপর নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখলেও রাশিয়া আবার নতুন করে আক্রমণ চালাচ্ছে বলে জানিয়েছেন ইউক্রেনের উপপ্রতিরক্ষামন্ত্রী হানা মালইয়ার। সে দেশের একাধিক সূত্র অনুযায়ী যুদ্ধক্ষেত্রে রুশ সৈন্যদের লাশ ছড়িয়ে রয়েছে এবং প্রবল শীত সত্ত্বেও আহতদেরও উদ্ধার করা হচ্ছে না। রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অবশ্য দৈনিক বিবৃতিতে কোনো নির্দিষ্ট জায়গা বা প্রাণহানির উল্লেখ করেনি।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি এক ভিডিও বার্তায় বলেন, ‘ব্যাপক ধ্বংসলীলা সত্ত্বেও দেশের সৈন্যরা বাখমুত ও সোলেদার শহরের ওপর নিয়ন্ত্রণ ধরে রেখেছে।’ তার মতে, সোলেদারে সংঘর্ষের জের ধরে বাকি দেশে ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনী কিছুটা সময় পাচ্ছে।
এটিভি বাংলা / হৃদয়
Leave a Reply