লাইফস্টাইল ডেস্ক :
বর্তমানে বাংলাদেশের প্রায় প্রতিটি ঘরেই ডায়াবেটিসের রোগী রয়েছে। সাধারণত এই রোগের শিকার হলে রোগীকে সারা জীবন এ অসুখ বয়ে বেড়াতে হয়। রোগীকে এই রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে অনেক কঠোর নিয়ম মেনে চলতে হয়। পাশাপাশি সেবন করতে হয় ওষুধও। তবে সতর্কতা ও ডায়াবেটিস রোগ সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা আপনার জীবনকে অনেকটাই সহজ করে দিতে পারে।
আজ সোমবার (১৪ নভেম্বর)। পৃথিবীর প্রতিটি দেশে পালিত হচ্ছে বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস। বিশ্বজুড়ে ডায়াবেটিস রোগ ব্যাপক হারে বেড়ে যাওয়ায়, বিশ্ব ডায়াবেটিস ফেডারেশন (আইডিএফ) ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ১৯৯১ সালে ১৪ নভেম্বরকে ডায়াবেটিস দিবস হিসেবে ঘোষণা করে।
তাই আসুন দিবসটির দিনে জেনে নিই বিশেষ উপায়ে খাবার খাওয়ার পদ্ধতি যা শরীরে ডায়াবেটিসকে শুধু নিয়ন্ত্রণই করবে না, বার্ধক্যকেও প্রতিহত করবে।
নিউইয়র্কের ওয়েল কর্নেল মেডিক্যাল কলেজের একদল গবেষকের গবেষণা বলছে, সঠিক খাবার খাওয়ার চেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ আপনি আপনার খাবারগুলোকে কীভাবে খাচ্ছেন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যদি খাবার খাওয়ার ধারাবাহিক ক্রম সঠিক হয়, তবে শরীরে খাবারের নেতিবাচক প্রভাব অনেকটাই এড়ানো সম্ভব।
গবেষকদের তথ্য অনুযায়ী, খাবার গ্রহণের সঠিক ক্রমের ওপরই নির্ভর করে রক্তের শর্করার মাত্রা। যেমন কেউ খাবার গ্রহণের প্রথমেই যদি কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার খান, তবে রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে যাবে।
অন্যদিকে খাবার গ্রহণের প্রথমে যদি কেউ কার্বোহাইড্রেট না খেয়ে শাকসবজি ও প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার বেছে নেন তবে রক্তে শর্করা ও ইনসুলিনের মাত্রা কোনোভাবেই বাড়ার সুযোগ থাকে না। যদি বাড়েও তবে তা ঘটে ধীরগতিতে।
এই বিশেষ নিয়মে খাবার খাওয়া শুরু করলে শুধু যে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করা যাবে, এমনটা কিন্তু নয়। বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন সমস্যা, দেহের ওজন এবং হরমোনের ভারসাম্যের ওপরেও এটি ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে সক্ষম।
কারণ হিসেবে গবেষকরা বলছেন, খাবারের শুরুতে শাকসবজি ও প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার বেছে নিলে শরীরে প্রথমে ফাইবার পৌঁছানোর সুযোগ পায়। এতে করে হজম প্রক্রিয়া ধীরগতির হয়। যার ফলে আচমকা রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি না পেয়ে ধীরে ধীরে বাড়ে।
খাবার খাওয়ার এই অভ্যাসে ত্বকে বয়সের ছাপ পড়ে না। তাই বয়সজনিত বিভিন্ন উপসর্গ লোপ করার পাশাপাশি বার্ধক্যের গতিকেও ধীরগতির করে তোলে এই খাবার খাওয়ার বিশেষ পদ্ধতি।
এটিভি বাংলা / হৃদয়
Leave a Reply