বিএনপির বরিশাল বিভাগীয় গণসমাবেশ অনানুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে সকাল ১১টা থেকেই। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বরিশাল মহানগর বিএনপি নেতাদের বক্তব্যের মাধ্যমে সভায় বক্তব্যের পর্ব শুরু হয়। এতে বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাসসহ অনেকে। আজ শনিবার দুপুর ২টায় আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হওয়ার কথা থাকলেও বেলা ১২টার আগে থেকেই তিন কিলোমিটারজুড়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের উপস্থিতি লক্ষ করা গেছে। বরিশালের সাথে লঞ্চ, বাস চলাচলসহ সকল যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
গণসমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেবেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। প্রধান বক্তা স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, বিশেষ অতিথি আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সেলিমা রহমান।
বরিশালে প্রবেশপথের দুটি সেতুতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। তবু বন্ধ হয়নি মানুষের স্রোত। ট্রলারে, পায়ে হেঁটে, নৌকা দিয়ে মানুষের ঢল নেমেছে গণসমাবেশ স্থলে। বরং সমাবেশের দুদিন আগে থেকেই দলীয় নেতাকর্মীদের পদভারে মুখরিত হয়ে উঠেছে বঙ্গবন্ধু উদ্যান প্রাঙ্গণ। সকাল ১১টায় কুরআন তিলাওয়াতের মাধ্যমে সমাবেশ শুরু হয়েছে। সমাবেশস্থলসহ আশপাশের তিন কিলোমিটার এলাকাজুড়ে বিএনপি নেতাকর্মীরা অবস্থান করছেন। ট্রলারে করে এখনও আসছেন নেতাকর্মীরা। গত রাত থেকেই মিছিলে-স্লোগানে নেতাকর্মীরা মাতিয়ে রেখেছেন চারপাশ।
বিএনপির নেতাকর্মীরা জানান, গতকাল শতাধিক ট্রলারে করে নেতাকর্মীরা বরিশাল এসেছেন। আজও ট্রলারে করে আসা অব্যাহত রয়েছে। হয়রানি ও বাধার আশঙ্কায় সড়ক পথে নেতাকর্মী কম আসছেন।
সমাবেশে যোগ দিতে বিমানযোগে গতকাল রাতে বরিশালে পৌঁছেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ কেন্দ্রীয় নেতারা। এ ছাড়া, বিভাগের বিভিন্ন জেলা থেকে গত তিন দিন ধরেই এসেছেন দলীয় নেতাকর্মীরা।
সকাল থেকেই দলের নেতাকর্মীরা সমাবেশস্থলসহ আশপাশের বিভিন্ন জায়গায় অবস্থান নিয়ে সমাবেশ শুরুর জন্য অপেক্ষা করছেন। মিছিল করতে করতে অনেকেই শহরের বিভিন্ন প্রাঙ্গণ থেকে উদ্যানের দিকে আসছেন। ইতোমধ্যে বান্দ রোড, জেলা স্কুলের মোড় ও পুলিশ সুপারের বাসভবন এলাকায় যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
বিএনপি নেতাকর্মীরা জানান, পরিবহণ বন্ধ থাকলেও ভেঙে ভেঙে তারা সমাবেশস্থলে পৌঁছেছেন। ভাড়া করা ট্রলার-লঞ্চে করেও নেতাকর্মীরা বরিশাল এসেছেন। পথে বিভিন্ন জায়গায় তাদের বাধা দেওয়া হলেও তা উপেক্ষা করেই তারা পৌঁছেছেন।
বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক (বরিশাল বিভাগ) বিলকিস জাহান শিরিন বলেন, ‘সব ভয়-ভীতি ও বাধা উপেক্ষা করেই আমাদের নেতাকর্মীরা সভাস্থলে পৌঁছেছেন। এখনও তারা আসছেন। হাজারও নেতাকর্মীর উপস্থিতিতে উদ্যানে উৎসবমুখর পরিস্থিতি বিরাজ করছে।’
সরেজমিনে দেখা গেছে, বিএনপির সমাবেশ ঘিরে শহরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। তারা বান্দ রোড, জেলা স্কুলের মোড়, নগরের বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে অবস্থান করছে।
উল্লেখ্য, গত ৮ অক্টোবর চট্টগ্রামে প্রথম গণসমাবেশ করে বিএনপি। এরপর ১৫ অক্টোবর ময়মনসিংহে, ২২ অক্টোবর খুলনায় গণসমাবেশ করে দলটি। সবশেষ গত ২৯ অক্টোবর রংপুরে গণসমাবেশ করে দলটি।
আজ শনিবার বরিশালে এরপর আগামী ১২ নভেম্বর ফরিদপুর, ১৯ নভেম্বর সিলেট, ২৬ নভেম্বর কুমিল্লা, ৩ ডিসেম্বর রাজশাহী এবং ঢাকায় ১০ ডিসেম্বর মহাসমাবেশের মধ্য দিয়ে টানা তৃতীয় দফার কর্মসূচি শেষ হবে। এরপর নতুন কর্মসূচিতে যাবে বলে জানিয়েছেন বিএনপি নেতারা।
এটিভি বাংলা / হৃদয়
Leave a Reply