লাইফস্টাইল ডেস্ক :
ভিটামিন ডি হলো Fat Soluble (চর্বিতে দ্রবণীয়) একটি ভিটামিন। বিশ্বব্যাপী আনুমানিক এক বিলিয়ন মানুষ ভিটামিন ডি-র ঘাটতিতে ভুগছে। বাংলাদেশের ৮০ ভাগ মানুষের মধ্যে ভিটামিন ডি-র অভাব রয়েছে।
ভিটামিন ডি-র অভাব বেশির ভাগ ক্ষেত্রে মানুষ বুঝতে পারে না। কারণ, এর কোনো লক্ষণ থাকে না, তবে ভিটামিন ডি-র অভাবে অস্টিওপরোসিস, উচ্চ রক্তচাপ, ক্যানসার, ডায়াবেটিসের মতো শতাধিক রোগ হতে পারে। অতএব, আপনার স্বাস্থ্য পরীক্ষার অংশ হিসেবে ভিটামিন ডি-র লেভেল বছরে অন্তত একবার টেস্ট করানো উচিত।
প্রাকৃতিকভাবে শরীরে ভিটামিন ডি-র পরিমাণ বাড়াতে প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৩টার মধ্যে কমপক্ষে ৩০ মিনিট সরাসরি সূর্যের আলোর সংস্পর্শে থাকতে হবে। ভিটামিন ডি-র অভাব এড়াতে আপনার খাদ্যতালিকায় ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
কিছু লক্ষণ সম্পর্কে জেনে নেই, যেগুলো ভিটামিন ডি-র অভাবে হতে পারে–
* হাড়ের ফাটল ও ক্ষয়
* অবসাদ ও ক্লান্তি
* হাড় ও অস্থিসন্ধির ব্যথা
* মাংসপেশির দুর্বলতা
* পেশি সংকোচন
* উচ্চ রক্তচাপ
* ওজন বেড়ে যায়
* রোগ প্রতিরোধক্ষমতা হ্রাস পায়
যেসব মানুষ পর্যাপ্ত সূর্যের আলোর সংস্পর্শের বাইরে থাকে এবং পরিমিত ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করতে পারে না, ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী তাদের ভিটামিন ডি সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করা আবশ্যক।
এটিভি বাংলা / হৃদয়
Leave a Reply