বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক :
চীনের কোয়ান্টাম প্রযুক্তির ভূয়সী প্রশংসা করেছে পদার্থবিদ্যার নোবেল কমিটি। এ বছর কোয়ান্টাম প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করায় তিন বিজ্ঞানীকে নোবেল পুরস্কার দেয়া হয়েছে
পদার্থবিজ্ঞানে নোবেলজয়ী এ তিন বিজ্ঞানী হলেন: ফরাসি পদার্থবিজ্ঞানী অ্যালাইন অ্যাসপেক্ট, মার্কিন পদার্থবিজ্ঞানী জন এফ ক্লজার ও অস্ট্রিয়ার পদার্থবিজ্ঞানী অ্যান্টন জেলিঙ্গার।
বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার (৪ অক্টোবর) বিকেল পৌনে ৪টায় পদার্থে নোবেল বিজয়ী হিসেবে তাদের নাম ঘোষণা করে সুইডেনের স্টকহোমে রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি।
পদার্থবিদ্যার নোবেল কমিটি জানিয়েছে, কোয়ান্টাম প্রযুক্তি একটি নতুন যুগের ভিত্তি স্থাপন করায় অ্যালাইন অ্যাসপেক্ট, জন এফ ক্লজার ও অ্যান্টন জেলিঙ্গারকে নোবেল পুরস্কার দেয়া হয়েছে। নোবেলজয়ী এ তিন বিজ্ঞানী পুরস্কার হিসেবে ১ কোটি সুইডিশ ক্রোনার (৯ লাখ ডলার) পাবেন।
একাডেমির বিবৃতিতে বলা হয়েছে, কোয়ান্টাম তথ্য বিজ্ঞানের ‘আলোচিত ফোটন (বিকিরণের ক্ষুদ্র অংশ) নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য’ এ পুরস্কার দেয়া হয়েছে। তাদের ফলাফল কোয়ান্টাম তথ্যের ওপর ভিত্তি করে নতুন প্রযুক্তির পথ পরিষ্কার করেছে। এখন গবেষণার জন্য বড় ক্ষেত্রের মধ্যে কোয়ান্টাম কম্পিউটার, কোয়ান্টাম নেটওয়ার্ক ও নিরাপদ কোয়ান্টাম এনক্রিপ্টেড কমিউনিকেশন রয়েছে।
১৯৪৭ সালে ফ্রান্সের এজেনে জন্মগ্রহণ করেন অ্যাসপেক্ট। তিনি প্যারিস-স্যাকলে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক। ক্লজার যুক্তরাষ্ট্রের জে এফ ক্লজার অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটসের গবেষণা পদার্থবিদ। তার বয়স ৮০। আর ৭৭ বছর বয়সী জেলিঙ্গার ভিয়েনা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপক হিসেবে কাজ করছেন।
মঙ্গলবার (৪ অক্টোবর) এ বছরের পদার্থবিদ্যা পুরস্কারের উপস্থাপনায় একটি আন্তঃমহাদেশীয় কোয়ান্টাম লিংক দেখানোর জন্য চীন ও ইউরোপের সাইটগুলোর ওপর চীনা মাইকিয়াস কোয়ান্টাম কমিউনিকেশন স্যাটেলাইটসহ একটি পাওয়ার পয়েন্ট স্লাইড ব্যবহার করা হয়েছিল।
এ বছরের বিজয়ীদের কৃতিত্ব উপস্থাপনকারী পদার্থবিদ্যার নোবেল কমিটির সদস্য থরস হ্যান্স হ্যানসন বার্তা সংস্থা সিনহুয়াকে বলেছেন, তিনি চীনা কোয়ান্টাম কমিউনিকেশন স্যাটেলাইট দেখানোর জন্য বেছে নিয়েছেন। কারণ চীনের কোয়ান্টাম কমিউনিকেশন স্যাটেলাইট পদার্থবিজ্ঞানের জন্য আন্তর্জাতিকভাবে বেশ কাজে লাগে। এটি এ বছরের পুরস্কার উপস্থাপনার কাজেও লেগেছে।
হ্যানসন বলেন, চীনের কাছে বিশ্বের প্রথম কোয়ান্টাম কমিউনিকেশন স্যাটেলাইট ছিল এবং এটি প্রথম চীনে বিভিন্ন সাইটে প্রয়োগ করা হয়েছিল। তিনি বলেন, কোয়ান্টাম স্যাটেলাইট ও কোয়ান্টাম কমিউনিকেশনের ক্ষেত্রে চীন এগিয়ে আছে। এটি ছাড়া ভবিষ্যৎ দেখা যাবে না।
প্রতিবছর অক্টোবরের প্রথম সোমবার থেকে শুরু হয় নোবেল বিজয়ীদের নাম ঘোষণা। সেই হিসেবে এবারও নোবেল বিজয়ীদের নাম ঘোষণা শুরু হয়েছে সোমবার (৩ অক্টোবর) থেকে। নোবেল কমিটির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, ৩ থেকে ১০ অক্টোবর পর্যন্ত নোবেল পুরস্কার ঘোষণা করা হবে। পুরস্কার ঘোষণার অনুষ্ঠান সরাসরি নোবেল পুরস্কারের অফিশিয়াল ওয়েবসাইট এবং ডিজিটাল চ্যানেলে সম্প্রচার করা হচ্ছে। বিজয়ীদের বিস্তারিত তথ্য ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়
এটিভি বাংলা / হৃদয়
Leave a Reply