হুমায়ূন সাধুর জন্য পর্দায় কাঁদলেন, সিনেমা হলেও কাঁদলেন জয়া

বিনোদন ডেস্ক :

স্টার সিনেপ্লেক্সের বসুন্ধরা শাখায় জয়া আহসান যখন এলেন ঘড়ির কাঁটা ততক্ষণে ১১টা পেরিয়েছে, বিউটির সিনেমা সেজন্যই হয়তো লাল জামা বেছে নিয়েছেন অভিনেত্রী; সঙ্গী মা ও বোন।

‘বিউটি সার্কাস’ সিনেমার সকাল ১১টা ১৫ মিনিটের যে শো পরিবার নিয়ে দেখেছেন জয়া, সেটির দর্শক কেমন? এই প্রশ্নের উত্তর, সিনেমা হলের চিরচেনা অন্ধকার পরিবেশ এসেছে শো শুরুর প্রায় ২৫ মিনিট পর, এতক্ষণে সিট খুঁজতে আলো জ্বালিয়েছেন হাউসফুল দর্শক।

সিনেমা হলে নিজের সিনেমা দেখে দর্শকের করতালিতে জয়া আহসান যেমন উচ্ছ্বাসিত হয়েছেন তেমনি কেঁদেছেন নীরবে। তবে পর্দায় কেঁদেছেন হাউমাউ করে। হুমায়ূন সাধুর জন্য এই কান্নার কারণ আবিষ্কারে দর্শককে সিনেমা হলে যেতে হবে।

তবে সিনেমা হলে নীরবে জয়া আহসানের কান্নার কারণ জানতে সিনেমা হলে যেতে হবে না। সেটির কারণও হুমায়ূন সাধু; পর্দায় যে অংশে প্রয়াত এই অভিনেতাকে দেখা গেছে, মন খারাপ করেছেন জয়া। কিছু দৃশ্যে চোখ মুছেছেন। সিনেমা হলে জয়ার এমন মন খারাপের দৃশ্য নজরে এসেছে এই প্রতিবেদকের।

২০১৯ সালের ২৫ অক্টোবর মারা যান নির্মাতা ও অভিনেতা হুমায়ূন সাধু। ‘বিউটি সার্কাস’ তাঁর অভিনীত শেষ সিনেমা। অভিনয় করলেও ডাবিং করতে পারেননি। সিনেমায় হুমায়ূন সাধুর ডাবিং করেছেন চিত্রনাট্যকার ও গীতিকার আব্রাহাম তামিম।

‘বিউটি সার্কাস’ সিনেমায় হুমায়ূন সাধুর সঙ্গে কাজ প্রসঙ্গে জয়া আহসানের ভাষ্য, ‘আহা রে, ভাইটা আমার সিনেমাটা দেখে যেতে পারল না। কী সুন্দর অভিনয় করেছে। এমন অভিনেতাকে আমি সব সময় মিস করব। আমরা অনেক আনন্দ করে শুটিং করেছি। এই আনন্দ এখন মন খারাপ করে দেয়। এত ভালো একজন অভিনেতা। নিজের প্রথম সিনেমাটি দেখে যেতে পারল না। এটাই সবচেয়ে কষ্টের জায়গা।’

১৯ সিনেমা হলে চলছে গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যবাহী সার্কাস, জাদুর পাশাপাশি সম্পর্ক, সমাজ ও প্রতিশোধের গল্পে নির্মিত ‘বিউটি সার্কাস’। এই সিনেমার প্রধান আকর্ষণ খ্যাতিমান অভিনেত্রী জয়া আহসান।

বাংলাদেশ সরকারের অনুদানপ্রাপ্ত (২০১৪-১৫), ইমপ্রেস টেলিফিল্ম প্রযোজিত ‘বিউটি সার্কাস’ সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন নির্মাতা মাহমুদ দিদার। সিনেমাটির অন্যান্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদ, তৌকির আহমেদ, এবিএম সুমন, শতাব্দী ওয়াদুদ, গাজী রাকায়েত, হুমায়ূন সাধু, মানিসা অর্চি প্রমুখ।

এটিভি বাংলা / হৃদয়


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *