প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তির অনেকটাই মূলত ভারতের ওপর নির্ভর করছে।’ ভারতে চার দিনের রাষ্ট্রীয় সফরের আগে ভারতভিত্তিক সংবাদ সংস্থা এশিয়ান নিউজ ইন্টারন্যাশনালকে (এএনআই) দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেছেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘এটি (তিস্তা) একটি দীর্ঘস্থায়ী সমস্যা। তাই এর সমাধান করা উচিত। তবে এটা মূলত ভারতের ওপর নির্ভর করে।’
শনিবার এএনআই’র টুইটার অ্যাকাউন্টে ৩৭ সেকেন্ডে একটি ভিডিওতে প্রধানমন্ত্রীকে এ কথা বলতে দেখা যায়। আজ রোববার সকালে পুরো সাক্ষাৎকারটি লিখিত সংস্করণ এএনআই’র ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়।
চীন ও ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের ভারসাম্য প্রসঙ্গে জানতে চাইলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের পররাষ্ট্রনীতি একদম পরিস্কার, সকলের জন্য বন্ধুত্ব, কারও জন্য বৈরিতা নয়। কোনো সমস্য যদি থেকে থাকে সেটি চীন ও ভারতের মধ্যে। আমি এতে নাক গলাতে চাই না। আমি আমার দেশের উন্নয়ন চাই।’
সাক্ষাৎকারে শেখ হাসিনা বলেন, ‘১০ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশের জন্য বড় বোঝা। রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে ভারত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।’
বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা ও হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মন্দির ভাঙচুর প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ‘এমন কিছু ঘটনা ঘটে থাকে। তবে সঙ্গে সঙ্গে এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
পূর্বের আলোচনার কথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত বছরের মার্চে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে তার বৈঠকের সময় তিস্তা নদীর পানি বণ্টন সংক্রান্ত অন্তর্বর্তী চুক্তি শেষ করার জন্য বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের অমীমাংসিত অনুরোধ পুনর্ব্যক্ত করেছিলেন।
তিনি তিস্তা নদীর অববাহিকায় নির্ভরশীল লাখ লাখ মানুষের দুর্ভোগ লাঘব এবং জীবিকা বাঁচাতে জোর দিয়েছিলেন, ২০১১ সালের যৌথ বিবৃতি অনুযায়ী, তিস্তার পানির ন্যায্য অংশ বাংলাদেশ পেতে পারে, ২০২১ যার খসড়া চুক্তিটি ইতোমধ্যে উভয় সরকার সম্মত হয়েছে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে আগামী ৫-৮ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্রীয় সফরে ভারত যাবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর আগে ২০১৯ সালে ভারত সফর করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
এটিভি বাংলা/ হৃদয়
Leave a Reply