লাইফস্টাইল ডেস্ক :
মানুষের মন বড় জটিল। দেখা গেছে আমরা একভাবে চিন্তা করে একটি সিদ্ধান্তে পৌঁছে যাই, আর মনের খবর থাকে আলাদা। আর সেই দ্বন্দ্ব যে কী, তা কিন্তু অনুভব করা যায় ঘটনা ঘটার পরই। অনেক সময় ব্রেকআপ করার পরও পুরনো মানুষের কথা মনে পড়ে। মনের ভিতর থাকে অনুশোচনা। তাই এ বিষয়গুলো নিয়ে আপনাকে সচেতন হয়ে যেতেই হবে
এখনকার দিনে সম্পর্ক ঠিক যতটা দ্রুত তৈরি হয়, তার থেকে বেরিয়ে আসতে সময় লাগে অনেকটাই কম। কারণ মনের বাঁধন সবসময় এখানে থাকে না। আর যেখানে মনের বাঁধন ঠিকমতো বাঁধা থাকে, সেখান থেকে বেরনো হয়ে যায় সহজ। তাই প্রতিটি মানুষকে এ বিষয়টি নিয়ে অবশ্যই একটু চিন্তা করতে হবে।
মুশকিল হলো অনেক সময় মানুষ ঝোঁকের বশে কিছু সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন। আর সেই সিদ্ধান্ত নেয়ার পর মন ভালো থাকে না। তখন বোঝাও সম্ভব হয় না যে কী কাজ করা হচ্ছে, কী ভাবে করা হচ্ছে। এবার এই পরিস্থিতিতে প্রেমিকার সঙ্গে ব্রেকআপ করার পরও হয়ে যায় মন খারাপ। সেই পরিস্থিতিতে নিজের যদি একটু সতর্ক করে না তুলতে পারেন, তবে সমস্যা কিন্তু দেখা দিতে পারে।
এদিক ব্রেকআপের পর ঠিক কীভাবে নিজেকে সামলে নেবেন? আসুন সেই বিষয়টি জানা যাক:
নিজেকে প্রশ্ন করুন ব্রেকআপের পর: এই পরিস্থিতিতে নিজেকে প্রশ্ন করতে হবে ব্রেকআপ করার পর। আসলে ব্রেকআপের পর নিজের কাছে জানতে চাইতে হয় যে যা করলাম তা কি ঠিক হলো? যদি না হয়, তবে নিজের মতো করে এগিয়ে গিয়ে সেই সমস্যার সমাধান খুঁজে নিন। কারণ এই জায়গা থেকে একমাত্র আপনিই নিজেকে টেনে তুলতে পারেন।
প্রেমিকার মনের হাল জানুন: এই সময় আপনাকে নিজের পাশাপাশি প্রেমিকার মনের হালও জানতে হবে। কারণ আপনার খারাপ লাগলে যে ওনারও খারাপ লাগতে পারে, এই বিষয়টা মাথায় ঢুকিয়ে নিন। নইলে এ সমস্যা বাড়তে পারে। নিজে না খোঁজ নিতে পারেন, অন্য কারও মাধ্যমে অনায়াসে নেয়া যায় খোঁজ। তাই চিন্তা নেই। এই বিষয়টা রাখুন মাথায়।
কথা বলুন তার সঙ্গে: মন খুব খারাপ লাগলে তার সঙ্গে অর্থাৎ আপনার প্রেমিকার সঙ্গে কথা বলুন। দেখুন তিনি কীভাবে গোটা বিষয়টিকে তুলে ধরার চেষ্টা করছেন। এ ছাড়া নিজের মতো করে কথা বলার চেষ্টা করুন। দেখবেন একটা সময়ের পর আপনি ভালো থাকতে পারছেন।
নিজের ওপর বিশ্বাস রাখুন: এমনটা হতেই পারে যে আপনার প্রেমিকা এ সময়টায় পাশে থাকতে চাইলেন না। এ পরিস্থিতিতে নিজের ওপর বিশ্বাস হারালে চলবে না। তাই এই কথাটা মাথায় ঢুকিয়ে নিন। কারণ আত্মবিশ্বাসে ভাটা পড়লে অনেকক্ষেত্রেই সমস্যা গুরুতর দিকে মোড় নেয়। তাই এই ভুলটা এখন আর করা চলবে না। নইলে সমস্যা হয়ে যেতে পারে জটিল।
নিজেকে ব্যস্ত রাখুন: নিজেকে ভালো রাখার সব চেয়ে কার্যকরী উপায় হলো ব্যস্ত থাকা। আসলে আপনি ব্যস্ত থাকতে পারলে অনেক ক্ষেত্রেই গুরুতর সব সমস্যা মিটে যেতে পারে। তাই নিজের ব্যস্ততার কথা কোনও মতেই ভুলে গেলে চলবে না। নিজের মনের মতো কাজ করুন। কিছু না পারেন তো অফিসের কাজেই সারাদিন ডুবে যান।
এটিভি বাংলা / হৃদয়
Leave a Reply