লাইফস্টাইল ডেস্ক :
প্রেম-ভালোবাসা মানুষের সহজাত প্রবৃত্তি। বেঁচে থাকার তাগিদে, জীবনের প্রয়োজনে কিংবা কাউকে ভালো লাগার মুহূর্ত থেকে মানুষ প্রেম বা ভালোবাসায় আসক্ত হয়।
বিজ্ঞান বলছে, প্রেম বা ভালোবাসা হলো আমাদের মস্তিষ্কের থ্যালামাসের একধরনের রাসায়নিক অবস্থা। যার জন্য একাধারে দায়ী আমাদের জিন।
প্রেমের প্রথমদিকে হৃৎস্পন্দন বেড়ে যাওয়া, গাল এবং কান লাল হয়ে যাওয়া, হাতের তালু ঘেমে যাওয়ার উপসর্গ গুলো দেখা যায়; বিজ্ঞানীদের মতে সেসবের পেছনে দায়ী হলো ডোপামিন, নরেপিনেফ্রিন হরমোন।
এত মানুষের ভীড়ে কোনো কোনো মানুষের ক্ষেত্রে দেখবেন, তাদের আবেগ তেমন কাজ করে না। তার কারণ হিসেবে চিকিৎসা শাস্ত্র বলছে, তাদের ক্ষেত্রে মস্তিষ্ক থেকে ওই হরমোনগুলো নিঃসৃত হয় না।
আবার এও দেখা গেছে, যে কোনো মানুষের শরীরে কৃত্রিমভাবে এই হরমোন রসায়ন প্রয়োগ করা হলে তাদের মাঝে আবেগ বা প্রেমের অনুভূতি কাজ করতে শুরু করে।
আজকের সমাজ টিকে আছে এই ভালোবাসা, পারস্পরিক বন্ধন, নির্ভরযোগ্যতা, বিশ্বস্ততা আছে বলেই। এই অনুভূতিগুলো নিয়ে কথা বললেই যে একটি কথা প্রায়ই শুনতে দেখা যায় একটি কথা। আর তাহলো মানুষ নাকি প্রথম প্রেম বা ভালোবাসার কথা নাকি একদমই ভুলতে পারে না।
সত্যি কি তাই? আসলে এটি ব্যক্তি বিশেষে সম্পূর্ণ ভিন্ন ভিন্ন প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মানুষ প্রথম প্রেমকে কখনও ভুলতে পারে না।
এর কারণ হিসেবে মার্কিন দৈনিক দ্য ওয়াশিংটন পোস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রথম প্রেম অনেকটাই স্কাইডাইভ বা প্রথমবার আকাশ থেকে শূন্যে লাফ দেওয়ার মতো ঘটনা। তাই প্রথমবারের ঘটনাটি যেভাবে মনে গেঁথে যায়, পরে ১০ বার লাফ দিলেও প্রথম স্মৃতির মতো তেমন মনের মণিকোঠায় ঠাঁই পায় না।
দ্বিতীয় কারণ হিসেবে রয়েছে প্রথম অভিজ্ঞতার বিষয়টি। প্রথম প্রেমের অভিজ্ঞতায় হৃদস্পন্দন অনেক বেশি কাজ করে। তাই মস্তিষ্কেও এটি বেশি গেঁথে যায় বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
তৃতীয় কারণের মধ্যে রয়েছে, প্রথম প্রেমে পড়ার বয়সটা থাকে সাধারণত ১৫ থেকে ২৬ এর মধ্যে। তাই অল্প বয়সও প্রথম প্রেমকে কখনও ভুলতে দেয় না। তবে আপনি যদি বেশি বয়সেও প্রথম প্রেমে পড়েন তবুও সে অনুভূতি ভোলার কোনো সুযোগ নেই বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
প্রথম প্রেমে মানুষ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সৎ থাকতে চেষ্টা করে। প্রতারণার বিষয়টি না থাকার কারণেও প্রথম প্রেমকে কেউ ভুলতে পারে না।
এটিভি বাংলা / হৃদয়
Leave a Reply