আবহাওয়া ডেস্ক :
উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপ নিম্নচাপে পরিণত হওয়ায় বরিশাল সহ উপকূলীয় অঞ্চলে অঝোরে বৃষ্টি হচ্ছে। এর প্রভাবে বায়ুচাপের তারতম্যের কারণে উপকূলীয় এলাকায় ঝড়ো হাওয়াসহ ভারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বায়ুচাপের প্রভাব এবং পূর্ণিমার জোয়ারের কারণে উপকূলীয় এলাকায় স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ২ থেকে ৪ ফুট পর্যন্ত বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা করছে আবহাওয়া অফিস।
ভারি বৃষ্টি এবং নদী-নদীতে পানি বেড়ে যাওয়ার কারণে বরিশাল নগরীর বিভিন্ন রাস্তার ড্রেনের উপরে পানি। তলিয়ে গেছে নদী তীরবর্তী নিচু এলাকা এবং চরাঞ্চল। এদিকে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে সমুদ্র বন্দরে ৩ নম্বর এবং উপকূলীয় নদী বন্দরে ২ নম্বর সতর্ক সংকেত জারি করা হয়েছে। এ কারণে ৬৫ ফুটের কম দৈর্ঘ্যের এমএল টাইপ লঞ্চ চলাচল বন্ধ রয়েছে।
পূর্ণিমার জোয়ারের কারণে গত কয়েকদিন ধরে (জোয়ারের সময়) বরিশালের ৮টি নদীর ১০টি পয়েন্টে পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করছে। ভাটির সময় আবার পানি নেমে যাচ্ছে।
জোয়ারের পাশাপাশি দুই দিনের টানা বৃষ্টিতে বরিশালের জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। আবহাওয়া অফিসের হিসাব মতে, রবিবার বিকেল ৩টা পর্যন্ত বিগত ২৪ ঘণ্টায় ৪১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে বরিশালে। এর আগের দিন বৃষ্টি হয়েছে ১৩ মিলিমিটার।
বরিশাল আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক আব্দুল কুদ্দুস জানান, উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপ নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। রবিবার সকাল ৯টায় নিম্নচাপটি উড়িষ্যা ও পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে অবস্থান করছিল। এর প্রভাবে বরিশালসহ উপকূলীয় অঞ্চলে বায়ুচাপের পার্থক্যের আধিক্যের কারণে ছড়ো হাওয়া সহ ভারি বৃষ্টি হতে পারে। বায়ুচাপের প্রভাব এবং পূর্ণিমার জোয়ার কারণে উপকূলীয় কয়েকটি জেলায় স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ২ থেকে ৪ ফুট পর্যন্ত বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা রয়েছে।
জোয়ারের সময় নদী উপচে নিম্নাঞ্চল তলিয়ে যাচ্ছে। ড্রেন তলিয়ে নগরীর বিভিন্ন রাস্তাঘাটে পানি জমেছে। এতে ভোগান্ততে পড়েছে সাধারণ মানুষ। চরাঞ্চল এবং নিচু এলাকায় কৃষি ফসল তলিয়ে গেছে।
এদিকে, নদী বন্দরে ২ নম্বর সতর্ক সংকেত থাকায় বরিশাল সহ উপকূলীয় নদী বন্দর থেকে ৬৫ ফুটের কম দৈর্ঘ্যের লঞ্চ চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে বিআইডব্লিউটিএ। যে সব লঞ্চ চলাচলের অনুমতি রয়েছে সেগুলোর জীবন রক্ষাকারী সরঞ্জাম আছে কিনা সে বিষয়টিও তদারকি করা হচ্ছে বলে জানান বরিশাল বিআইডব্লিউটিএ’র উপ-পরিচালক মো. আব্দুর রাজ্জাক।
মাছধরা ট্রলার সমুহকেও উপকূলের কাছাকাছি অবস্থান করে মাছ শিকার করতে বলা হয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
এটিভি বাংলা / হৃদয়
Leave a Reply