স্পোর্টস ডেস্ক :
সিরিজ বাঁচানোর ম্যাচে জিম্বাবুয়েকে ২৯১ রানের মাঝারি লক্ষ্য দিয়েছে বাংলাদেশ। এই রান তাড়া করতে নেমে শুরুতেই জোড়া ধাক্কা খেল জিম্বাবুয়ে। স্বাগতিকদের দুই টপ অর্ডার ব্যাটার কাইতানো ও ইনোসেন্ট কাইয়ার উইকেট তুলে নিয়েছে বাংলাদেশ। দুটি উইকেটই নিয়েছেন একাদশে ফেরা হাসান মাহমুদ।
হাসানের পর জিম্বাবুয়ে শিবিরে আঘাত হানলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। তুলে নিলেন ওয়েসলি মাধাভেরের উইকেট। এরপর তাইজুল ফিরিয়েছেন ওপেনার মারুমানিকে। দ্রুত ৪ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় জিম্বাবুয়ে। সিকান্দার রাজা ও চাকাভার ব্যাটে সেই চাপ কাটায় জিম্বাবুয়ে। সেঞ্চুরি করেন দুজনই। তাঁর মধ্যে এক সেঞ্চুরিয়ান চাকাভাকে ১০২ রানে ফিরিয়েছে বাংলাদেশ।
আজ রোববার সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে স্কোরবোর্ডে ২৯০ রান তুলেছে বাংলাদেশ। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৮০ রান করেছেন মাহমুদউল্লাহ। ৮৪ বলে তাঁর ইনিংসটি সাজানো ছিল তিন বাউন্ডারি আর তিন ছক্কায়।
হারারের স্পোর্টস ক্লাবে ম্যাচটিতে এই ম্যাচেও টস জিতে জিম্বাবুয়ে। টস জিতে যথারীতি বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় স্বাগতিকরা। আগে ব্যাট করতে নেমে দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও এনামুল হক বিজয়ের ব্যাটে উড়ন্ত সূচনা করে বাংলাদেশ।
শুরুর জুটিতে দুই ওপেনার বাংলাদেশকে উপহার দেন ৬৬ বলে ৭১ রানের জুটি। ছুটতে থাকা এই জুটি অবশেষে ভাঙেন টানাকা চিভাঙ্গা। বিদায় করেন হাফসেঞ্চুরি করা তামিমকে। টানাকা চিভাঙ্গার বলে পুল করে ওড়ানোর চেষ্টায় ডিপ স্কয়ার লেগে টাকুডজোয়ানাশে কাইটানোর হাতে ক্যাচ দিয়ে দেন বাঁহাতি ওপেনার। ৪৫ বলে ১০ চার ও এক ছক্কায় ৫০ করে থামেন তামিম।
তামিম ফেরার পর রানআউটে কাটা পড়েন আরেক ওপেনার এনামুল হক বিজয়। ২৫ বলে তিন চারে ২০ রান করে ফেরেন তিনি। দলীয় ৭৭ রানে দুই ওপেনারকে হারায় বাংলাদেশ।
তৃতীয় উইকেট জুটিতে সেই চাপ কাটানোর চেষ্টা করেন মুশফিকুর রহিম ও নাজমুল হোসেন শান্ত। দুজনে মিলে গড়েন ৫০ রানের জুটি। কিন্তু এই জুটি স্বস্তির চেয়ে দিয়েছে অস্বস্তি। কারণ দুজনেই করেন মন্থর ব্যাটিং। জুটির হাফসেঞ্চুরি করতে দুজন খরচ করেন ৬৪ বল।
মুশফিককে বিদায় করে শেষ পর্যন্ত এই জুটি ভাঙেন মাধাভেরে। স্বাগতিক অফ স্পিনারের অফ স্টাম্পের বাইরের বল স্লগ সুইপে ছক্কায় ওড়াতে চেয়েছিলেন মুশফিক। টাইমিং ঠিক রাখতে পারেননি। উল্টো ধরা পড়েন ডিপ মিডউইকেটে। ৩১ বলে এক চারে ২৫ রান করে থামেন মুশফিক।
মন্থর ব্যাটিং করা নাজমুল শান্তও এরপর বেশিক্ষণ স্থায়ী হলেন না। মাধাভেরে বলেই উইকেট বিলিয়ে দিয়ে ফেরেন তিনি। ফেরার আগে ৩৮ রান করতে ৫৫ বল খেয়ে দলের বিপদ বাড়ান এই এই ব্যাটার।
দ্রুত উইকেট হারানোর পর পঞ্চম উইকেটে জুটি বাঁধেন মাহমদউল্লাহ ও আফিফ হোসেন। এই জুটিতে বাংলাদেশ পায় ৮১ রান। আফিফকে আউট করে জমে ওঠা এই জুটি ভাঙেন সিকান্দার রাজা। ৪১ বলে ৪১ করে বিদায় নেন আফিফ।
এরপর বাকিদের নিয়ে লড়াই করে শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশকে মোটামুটি লড়াইয়ের পুঁজি এনে দেন মাহমুদউল্লাহ। শেষ পর্যন্ত ৮৪ বলে ৮০ রান করেন তিনি। তাঁর সঙ্গে মেহেদী হাসান মিরাজ করেন ১২ বলে ১৫ রান। তাসকিন আহমেদের ব্যাট থেকে আসে ১ রান।
এটিভি বাংলা / হৃদয়
Leave a Reply