লাইফস্টাইল ডেস্ক :
আষাঢ়-শ্রাবণ এই দুই মাস বর্ষাকাল। এ মৌসুমে রোদ ও মেঘের লুকোচুরি খেলা চলে। রাস্তার কাদাপানি বাদ দিলে অনেকেরই প্রিয় ঋতু এই বর্ষাকাল। গরমের মতো অস্বস্তি যেমন আছে তেমনি হঠাৎ করে নেমে আসে ঝুম বৃষ্টি। আর এজন্য এ সময়ে বাড়ে বিভিন্ন রোগের প্রকোপ। জ্বর, সর্দি-কাশিসহ টাইফয়েড, হেপাটাইটিস, ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গুর মতো নানা রোগ এই সময় মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। তাই বর্ষায় অসুস্থতা এড়াতে কিছু বিষয় মেনে চলা জরুরি।
চিকিৎসকরা বলছেন, বর্ষাকালে জীবনযাত্রায় অনিয়ম ডেকে আনতে পারে কিডনির অসুখও। কারও যদি আগে থেকে কোনো অসুস্থতা থেকে থাকে, সে ক্ষেত্রে এই ঋতুতে আরও বেশি সতর্ক থাকা প্রয়োজন।
বর্ষায় হঠাৎ অসু্স্থ হয়ে পড়া আটকাতে যে বিষয়গুলো মনে রাখা প্রয়োজন:
১. বর্ষায় আবহাওয়া স্যাঁতসেঁতে হয়ে যায়। এ সময়ে পানিবাহিত নানা রকম সংক্রামক রোগ দেখা যায়। ফলে পানি খাওয়ার আগে ফুটিয়ে নেয়া প্রয়োজন। পানিতে যদি কোনো ব্যাকটেরিয়া থেকেও থাকে, তা ফুটিয়ে নিলে সেগুলো নষ্ট হয়ে যাবে। বিশেষ করে বাচ্চা এবং বাড়ির বয়স্কদের ফোটানো পানি খাওয়ানো জরুরি। এতে সুস্থ থাকবে পেট। বদহজম, আমাশার মতো রোগেরও আশঙ্কা থাকবে না।
২. যেকোনো ঋতুতেই ফল খাওয়া নিরাপদ। ব্যতিক্রম নয় বর্ষাও। তবে বর্ষায় রাস্তার কাটা ফল একেবারেই খাবেন না। বাড়িতেও ফল খাওয়ার সময় তা কেটে নিন। আগে থেকে কেটে রাখার দরকার নেই। অনেকেই ফল কেটে ফ্রিজে রেখে দেন। বর্ষাকালে ফ্রিজে রাখা ফল এড়িয়ে চলুন।
৩. ডায়াবেটিস থাকলে বর্ষায় এমন কোনো অনিয়ম করবেন না যাতে শর্করার মাত্রা একটু হলেও বেড়ে যায়। বর্ষায় যে কোনো রোগ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। তাই সুস্থ থাকাটা জরুরি।
৪. বর্ষায় বাইরে ঘোরাফেরার সুযোগ খুব কম থাকে। বাইরে বৃষ্টি পড়ছে বলে শরীরচর্চাতে বিরাম দেবেন না। ঘরে যতটুকু সম্ভব করুন। যোগাসন করুন। ধ্যান করুন। স্ট্রেচিং করতে পারেন। বিভিন্ন রকম ব্যায়াম করতে পারেন।
৫. বর্ষায় পেটখারাপ, বমি, জ্বর, মাথাব্যথার মতো বিভিন্ন রোগের ওষুধ ঘরে মজুত রাখুন। কারণ বৃষ্টি মাথায় নিয়ে দরকার পড়লে সব সময় বাইরে গিয়ে ওষুধ কিনতে যাওয়ার পরিস্থিতি না-ও থাকতে পারে। তাই অসুস্থবোধ করলেও যাতে প্রাথমিক চিকিৎসাটুকু শুরু করে দেয়া যায় সে বিষয়টি নিশ্চিত করুন।
এটিভি বাংলা / হৃদয়
Leave a Reply