লাইফস্টাইল ডেস্ক :
পুরনো তামার থালাবাসন তো দেখেছেন। এসব বাসন কোসনে ঔজ্জ্বল্য যেমন থাকে না তেমনি থাকে ময়লার অনেক ছোট বড় দাগ। তা পরিষ্কার করতে আমাদের গুরুজনরা কিন্তু একটি উপাদানই ব্যবহার করতে বলেন। আর তা হলো তেঁতুল। কিন্তু কখনও কি ভেবেছেন তামার বাসনকোসনের মতো তামাটে ত্বককে ঝকঝকে আর ঔজ্জ্বল করতে তেঁতুল ব্যবহারের কথা।
ত্বক পরিষ্কারের জন্য কিংবা গায়ের রং আরেকটু ফর্সা করে তুলতে আমরা কতো কিছুই না করি। কখনও করি ক্লিনজিং, কখনও টোনিং, ময়েশ্চারাইজার, ফেস প্যাক, মাস্ক আরও কতো কি।
এসব আয়োজনে যতটা সময় ব্যয় হয়, পয়সা খরচ হয় সে অনুযায়ী ত্বকের আশানুরূপ ফলাফল হয়তো অনেকেই পাননি। তারা ব্যবহার করে দেখতে পারেন তেঁতুলের বিভিন্ন ফেসপ্যাক।
ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম বোল্ড স্কাইয়ে এ বিষয়ে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, এসব ফেসপ্যাক আপনি বাড়িতেই তৈরি করে নিতে পারেন। বিভিন্ন উপাদানের সমন্বয়ে এই ফেসপ্যাক কীভাবে তৈরি করবেন চলুন তা জেনে নিই আজকের আয়োজনে।
ফেসপ্যাক: তেঁতুলের ফেসপ্যাক তৈরি করে সপ্তাহে তিনদিন ব্যবহার করতে হবে। ফেসপ্যাক বাড়িতে তৈরি করার পর তা ফ্রিজে এক সপ্তাহ সংরক্ষণ করতে পারবেন।
১। হলুদ ও তেঁতুলের ফেস প্যাক তৈরির জন্য ২ চামচ তেঁতুলের ক্বাথের সঙ্গে ১/২ চা চামচ হলুদ গুঁড়ো ভালো করে মিশিয়ে মুখে লাগাতে পারেন। হলুদে থাকা কারকিউমিন ত্বক পরিষ্কার করে এবং ব্যাকটেরিয়া মেরে ফেলে। আর হলুদ এবং তেঁতুলে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকের দাগছোগ, রিঙ্কেলস এবং ডার্ক স্পট কমিয়ে ত্বককে করে তোলে উজ্জ্বল।
২। মধু ও তেঁতুলের ফেস প্যাকও তৈরি করতে পারেন। একটা বাটিতে এক চা চামচ তেঁতুলের ক্বাথ, এক চা চামচ মধু এবং দুই চা চামচ বেসন একসঙ্গে ভালো করে মিশিয়ে নিন।
ফেসপ্যাক ত্বকে ব্যবহার করার পর অপেক্ষা করুন শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত। এরপর ত্বক পরিষ্কার করে ময়েশ্চরাইজার লাগান। এই দুটি ফেস প্যাক ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করার পাশাপাশি ডার্ক স্পট, ট্যান এবং হাইপারপিগমেন্টেশন দূর করবে। যাদের ত্বক তৈলাক্ত তারা নিয়মিতই ব্যবহার করতে পারেন এই উপকারি ফেসপ্যাকটি।
তেঁতুলের স্ক্রাব: ফেসপ্যাক তৈরির পাশাপাশি তেঁতুল কিন্তু ভালো স্ক্রাব হিসেবেও ভালো কাজ করে। স্ক্রাব তৈরির জন্য আপনার লাগবে ২ টেবিল চামচ তেঁতুলের ক্বাথ, ২ টেবিল চামচ ব্রাউন সুগার, ২ চা চামচ পাতিলেবুর রস ও ২ চা চামচ বেকিং সোডা। এসব উপাদান একসঙ্গে ভালো করে মিশিয়ে ত্বকে লাগিয়ে নিন
এটি ফেসপ্যাকের পাশাপাশি বডি স্ক্রাব হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে। এই স্ক্রাব ত্বকের মৃত কোষ দূর করে। চিনি ত্বকের ময়লা দূর করে ত্বক পরিষ্কার করে। লেবু এবং বেকিং সোডা ত্বকের জেল্লা ফিরিয়ে আনে, ডার্ক স্পট কমায়। তাই রূপচর্চায় এটিকে করে নিতে পারেন নিত্যসঙ্গী।
তেঁতুলের টোনার: টোনার হিসেবেও ভালো কাজ করে তেঁতুলের টোনার। টোনার বানাতে ২ চামচ তেঁতুলের ক্বাথের সঙ্গে ২ চা চামচ চা পাতার ফোটানো পানি একসঙ্গে মিশিয়ে স্প্রে বোতলে ভরে ফ্রিজে সংরক্ষণ করতে পারবেন ২ দিন। রাখুন। তেঁতুল এবং চা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ হওয়ায় এই টোনার হাইড্রেটিং এবং অ্যান্টি-এজিংয়ের কাজ দেবে। রিঙ্কেলস কমিয়ে ত্বকে মসৃণ ও উজ্জ্বল ভাব নিয়ে আসার জন্যও ভরসা রাখতে পারেন এই টোনারের ওপর।
এটিভি বাংলা / হৃদয়
Leave a Reply