[contact-form][contact-field label=”Name” type=”name” required=”true” /][contact-field label=”Email” type=”email” required=”true” /][contact-field label=”Website” type=”url” /][contact-field label=”Message” type=”textarea” /][/contact-form]
চট্রগ্রামের সীতাকুন্ডে বিস্ফোরনে ফায়ারসার্ভিস কর্মীসহ এ পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা কমপক্ষে ৪০, নিহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে। আহতদের চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছে চিকিৎসকেরা। বিস্ফোরণে কেপে উঠেছে আশে পাশের গ্রামগুলো। দ্বিতীয় দফায় বিস্ফোরণে উড়ে গেছে ফায়ারসার্ভিসের কর্মীরা। বিভাগের বাইরে আহতদের স্বজনদের পাশাপাশি অনেক উৎসুক জনতা ভিড় করেন।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের বাইরে হাজার হাজার মানুষ। রাস্তা–ফুটপাত–দোকানপাট সব জায়গায় উৎসুক মানুষের ভিড়। সেই সঙ্গে ভিড় দেখা যায় হাসপাতালের জরুরি বিভাগসহ অন্যান্য বিভাগগুলোতে। উৎসুক মানুষের কারণে আহত রোগীদের চিকিৎসা দিতে হিমশিম খেতে হয় চিকিৎসকদের। বার বার সতর্ক করেও হাসপাতালের ভেতরে রাজনৈতিক নেতা–কর্মীদের ভিড় কমাতে পারেনি পুলিশ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
রাত সাড়ে ১১টা থেকে সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণে আহতদের হাসপাতালে নিয়ে আসা শুরু হয়। অ্যাম্বুলেন্সের পাশাপাশি মোটরসাইকেল, রিকশা ও অন্যান্য যানবাহনে করে আহতদের নিয়ে আসা শুরু হয়। তাঁদের আহাজারিতে ভারী হয়ে ওঠে হাসপাতালের পরিবেশ। রোগীদের সেবা দেওয়ার জন্য ডাক্তার ও নার্সরা জরুরি বিভাগে অপেক্ষা করতে থাকেন। সেখানে আহতদের গ্রহণ করার পর বিভিন্ন ওয়ার্ডে ভর্তি দেওয়া হয়।
কিন্তু জরুরি বিভাগে রোগীর পাশাপাশি বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতারা ভিড় করলে পরিস্থিতি সামলানো কঠিন হয়ে পড়ে। রাত ১২টা থেকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে দেখা যায় চকবাজার ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নুর মোস্তাফা টিনু ও তাঁর অনুসারীদের। এ ছাড়া নগর যুবলীগের সদ্য বিদায়ী আহ্বায়ক মো. মহিউদ্দিন, ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এম আর আজিম ও সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজিম, ছাত্রলীগ নেতা আরশেদুল আলম। সঙ্গে ছিলেন তাদের একদল অনুসারী। জরুরি বিভাগের ভেতরের খালি জায়গায় দাঁড়িয়ে অনেক নেতা বিভিন্ন গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দেন। এ সময় আহতদের হাসপাতালে ঢুকতে বেগ পেতে হয়।
পুলিশ ও কর্তব্যরত আনসার সদস্যরা বারবার হাত মাইকে ঘোষণা দিয়েও তাঁদের নিবৃত করতে পারেননি। একপর্যায়ে হাসপাতালের সহকারী পরিচালক হুমায়ুন কবীর মাইকে ঘোষণা দিয়ে বলেন, আপনারা জরুরি বিভাগ থেকে বের হয়ে যান। আমরা রোগীদের সেবা দিতে পারছি না।
ঘোষণার পরও তাঁদের সরানো যাচ্ছিল না। তবে রাত আড়াইটার পর থেকে জরুরি বিভাগের পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হয়। তবে অর্থোপেডিক, বার্ন ইউনিট ও সার্জারি বিভাগে স্বজনের পাশাপাশি উৎসুক মানুষের ভিড় দেখা যায়।
হাসপাতালের সহকারী পরিচালক রাজীব পালিত বলেন, উৎসুক জনতার কারণে আহতদের সেবা দিতে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে।
কিছু নেতা ও বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে খাবার ও পানীয় জলের বোতল কিনে রোগী ও স্বজনদের দিতে দেখা গেছে। এ ছাড়া রক্ত দেওয়ার জন্যও অনেকে ব্লাড ব্যাংকে ভিড় করেন
Leave a Reply