ডেস্ক রিপোর্ট:
বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) পক্ষ থেকে বন্যার সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে। বন্যাপ্রবণ এলাকায় সংগ্রহের উপযোগী ফসল আগামী ৫ জুনের আগেই সংগ্রহ করতে বলা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন সিরাজগঞ্জ পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম। বার্তা পেয়েই জেলাজুড়ে নেওয়া আগাম ব্যবস্থাপনা শুরু হয়েছে।
বন্যার সতর্কবার্তায় উল্লেখ করা হয়েছে, চলতি মাসের প্রথম ও দ্বিতীয় সপ্তাহে দেশের উত্তরের তিন বিভাগ, রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেটে ভারী বর্ষণ এবং উজানে ভারতীয় ভূখণ্ডে ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণের কারণে দেশের উত্তরের নদ-নদীতে পানির সমতল বৃদ্ধি পেতে পারে। এতে উত্তরের তিন বিভাগের নিচু এলাকাগুলো বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়ে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে। একই সঙ্গে দুর্বল বেড়িবাঁধগুলো ভেঙে গিয়ে নতুন এলাকা প্লাবিত হতে পারে।
সতর্কবার্তায় বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় দুর্বল বেড়িবাঁধগুলো মেরামত করে এলাকাগুলোয় বন্যার পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে ত্রাণ সংস্থাগুলোকে প্রস্তুত থাকার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া বন্যাপ্রবণ এলাকায় সংগ্রহের উপযুক্ত কৃষি ফসল আগামী ৫ জুনের আগেই সংগ্রহ করতে বলা হয়েছে। নতুবা তা বন্যার পানিতে তলিয়ে যেতে পারে বলেও সতর্ক করা হয়েছে।
সিরাজগঞ্জ পাউবোর পানি পরিমাপক হাসানুর রহমান বলেন, ‘সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি স্থিতাবস্থায় রয়েছে। সিরাজগঞ্জ শহররক্ষা বাঁধ এলাকায় পানির বিপৎসীমা ধরা হয় ১৩ দশমিক ৩৫ সেন্টিমিটার (১৩ দশমিক ৩৫)। গত ২৪ ঘণ্টায় (গতকাল বুধবার দুপুর ৩টা থেকে আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ৩টা পর্যন্ত) যমুনা নদীর পানি ২ সেন্টিমিটার কমে বিপৎসীমার দুই দশমিক ৬৭ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে, আগামীকাল শুক্রবার থেকে যমুনা নদীর পানি বাড়তে পারে।’
সিরাজগঞ্জ পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘বন্যার সতর্কবার্তাটি হাতে পেয়েছি। বিষয়টি বিভিন্ন বিভাগকে অবগত করা হয়েছে। বন্যা মোকাবিলায় পানি উন্নয়ন বোর্ড প্রস্তুত রয়েছে। তবে, সুবিধা হলো—বর্তমানে যমুনা নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। এ কারণে পানি বাড়লেও তা সমস্যা হবে না। বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধগুলো সর্বক্ষণ নজরদারিতে রাখা হয়েছে। নদীর তলদেশে সার্ভে করা হচ্ছে। কোথাও কোনো সমস্যা দেখা দিয়ে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক বাবলু কুমার সূত্রধর বলেন, ‘বন্যা সতর্ককরণ ম্যাসেজটি আমরা পেয়ে তা মাঠ পর্যায়ে জানিয়ে দিয়েছি। সিরাজগঞ্জে বেশিরভাগ জমির ফসল কাটা হয়েছে। বাকি যা আছে তা দ্রুত কেটে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’
এটিভি বাংলা/সাইফুল
Leave a Reply