1. [email protected] : @nexttech :
  2. [email protected] : SM Solaiman : SM Solaiman
সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:১০ পূর্বাহ্ন

দ্বাদশ নির্বাচনে ভোট হবে একাধিক দিনে!

Reporter Name
  • Update Time : রবিবার, ২২ মে, ২০২২
  • ৩৫২ Time View

ডেস্ক রিপোর্ট: 

আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে একাধিক দিনে কয়েকটি ভাগে ভোটগ্রহণ করা যায় কি না, তা ভেবে দেখছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তবে, বিষয়টি নিয়ে সবার সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে এর সম্ভাব্যতা, উপযোগিতা, সুবিধা, অসুবিধা ইত্যাদি বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। চলতি বছরের ১৩ মার্চ, ২২ মার্চ, ৬ এপ্রিল ও ১৮ এপ্রিল ইসি দেশের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, বুদ্ধিজীবী, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি, প্রিন্ট মিডিয়ার সম্পাদক, সিনিয়র সাংবাদিক, ইলেকট্রনিক মিডিয়ার প্রধান নির্বাহী, বার্তা সম্পাদককদের সঙ্গে সংলাপে বসে ইসি। ওই সংলাপে আমন্ত্রিতজনেরা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তাঁদের মতামত ও পরামর্শ দেন। তাঁদের মতামত বা পরামর্শ পর্যালোচনা করে ওইসব বিষয়ের ওপর মতামত জানান সাংবিধানিক এ প্রতিষ্ঠানটি। আজ রোববার গণমাধ্যমকে পাঠানো এক লিখিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ইসি থেকে আসা বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে—নির্বাচন কমিশন স্টেকহোল্ডারদের মতামত ও পরামর্শসমূহ গুরুত্ব সহকারে পর্যালোচনা ও মূল্যায়ন করে দেখেছে। এ পর্যালোচনা ও মূল্যায়ন ধারাবাহিকভাবে অব্যাহত রাখা হবে। সময় ও পরিস্থিতি অনুযায়ী কমিশন যথাযথ করণীয় নির্ধারণ করে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

বিবৃতিতে যা বলা হয়েছে

১. অংশগ্রহণমূলক, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন আকাঙ্ক্ষা ও গুরুত্ব নির্বাচন কমিশন সর্বদা অনুধাবন করে থাকে। নির্বাচনকে অংশগ্রহণমূলক, অবাধ ও নিরপেক্ষ করতে কমিশন সাধ্যমতো চেষ্টা করে যাবে। সব রাজনৈতিক দল, বিশেষত প্রধান প্রধান রাজনৈতিক দলকে অচিরেই সংলাপে আহ্বান করা হবে।

২. ভোটকেন্দ্রে ও ভোটাধিকার প্রয়োগে অর্থশক্তি ও পেশিশক্তির প্রভাব প্রতিরোধ করতে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সবার, বিশেষ করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাসমূহের সহায়তা প্রয়োজন হবে। প্রতিদ্বন্দ্বী রাজনৈতিক দলসমূহ ও প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদেরও এ লক্ষ্যে স্ব স্ব অবস্থান থেকে অতন্দ্রিত ভূমিকা পালন করতে হবে।

৩. নির্বাচনে অর্থশক্তি ও পেশিশক্তির প্রভাব প্রতিরোধ করতে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি প্রতিদ্বন্দ্বী রাজনৈতিক দলসমূহ ও প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদেরও সজাগ দৃষ্টি রেখে প্রত্যাশিত ভূমিকা পালন করতে হবে। রাজনৈতিক সদিচ্ছা, মতৈক্য ও সমঝোতা এহেন সমস্যা নিরসনে ভূমিকা রাখতে পারে।

৪. নির্বাচনে কারচুপির সুযোগ প্রতিরোধ করে অবাধ ও নিরপেক্ষ ফলাফল নিশ্চিত করতে নির্বাচন কমিশন সম্ভব সব ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। প্রতিদ্বন্দ্বী রাজনৈতিক দলসমূহ ও প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদেরও এ বিষয়ে সজাগ থেকে নজরদারিসহ সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে।

৫. প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অপ্রতুলতা হলে নির্বাচন একাধিক দিনে কয়েকটি ভাগে সম্পন্ন করা যেতে পারে মর্মে প্রস্তাবনা বিষয়ে কমিশন সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে বিষয়টির সম্ভাব্যতা, উপযোগিতা, সুবিধা, অসুবিধা ইত্যাদি বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।

৬. ভোটের সময় ভোটকেন্দ্রে ভোট কার্যক্রম পর্যবেক্ষণের জন্য অনুমোদিত সাংবাদিকদের এবং দেশীয় ও আন্তর্জাতিক নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের অবাধ সুযোগ প্রদান নিশ্চিত করতে কমিশন আন্তরিকভাবে চেষ্টা করবে।

৭. স্বচ্ছতার জন্য ভোটকেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা প্রতিস্থাপন করে ভোটকেন্দ্রের অভ্যন্তর ভাগের দৃশ্য বাইরে থেকে পর্যবেক্ষণের সুযোগ সৃষ্টি করার বিষয়টি কমিশন বিবেচনা করবে।

৮. ইভিএমের শুদ্ধতা ও অপপ্রয়োগ রোধ নিশ্চিত করতে কমিশন ইতোমধ্যে কয়েকটি সভা করেছে। পরীক্ষা ও পর্যালোচনা অব্যাহত রয়েছে। অধিকতর পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য আগামীতে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অভিজ্ঞ বিশিষ্টজনদের অংশগ্রহণে আরও পর্যালোচনা সভার আয়োজন করা হবে। অতঃপর কমিশন আগামী জাতীয় সংসদের সাধারণ নির্বাচনে ইভিএমের ব্যবহার বা ব্যবহারের পরিধি ও বিস্তৃতির বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।

সংলাপে আমন্ত্রিত ব্যক্তিদের থেকে আসা মতামত, পরামর্শ ও প্রস্তাবনাসমূহ

১. নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হতে হবে। অর্থাৎ, নির্বাচনে সব এবং বিশেষত প্রধান প্রধান রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে।

২. নির্বাচন অবাধ হতে হবে। ভোটারদের স্বাধীন ভোটাধিকার প্রয়োগে সম্ভাব্য সব প্রতিবন্ধকতা অপসারণ করে নির্বিঘ্নে ভোটাধিকার প্রয়োগের অনুকূল পরিবেশ ও সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে।

৩. নির্বাচনে সম্ভাব্য সব কারচুপির সুযোগ প্রতিরোধ করে শুদ্ধ ও নিরপেক্ষ ফলাফল নিশ্চিত করতে হবে।

৪. ভোটকেন্দ্রে ভোটাধিকার প্রয়োগে অর্থশক্তি-পেশিশক্তির ব্যবহার ও প্রভাব প্রতিরোধ করতে হবে।

৫. রিটার্নিং অফিসার হিসেবে প্রশাসনের কর্মকর্তাদের বাদ দিয়ে বা তাদের পাশাপাশি যতদূর সম্ভব কমিশনের নিজস্ব কর্মকর্তা বা বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের নিয়োগ দেওয়া সমীচীন হবে।

৬. ভোটের সময় ভোটকেন্দ্রে অনুমোদিত সাংবাদিকদের অবাধ প্রবেশাধিকার দিতে হবে।

৭, ভোটগ্রহণ কার্যক্রম পর্যবেক্ষণের জন্য দেশীয় ও আন্তর্জাতিক নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের অবাধ সুযোগ দিতে হবে।

৮. ভোটারদের ভোটাধিকার প্রয়োগ অবাধ, নির্বিঘ্ন, স্বচ্ছ ও দৃশ্যমান করতে সিসি ক্যামেরা প্রতিস্থাপন করে ভোটকেন্দ্রের অভ্যন্তরের দৃশ্য বাইর থেকে পর্যবেক্ষণের সুযোগ দেওয়া যেতে পারে।

৯. ভোটকেন্দ্রে আইনশৃঙ্খলা বজায় রেখে সম্ভাব্য সহিংসতা প্রতিরোধ করতে হবে। প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে এ বিষয়ে তাদের দায়িত্বপালনে বাধ্য করতে হবে।

১০. প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সব বাহিনীকে ভোটের সময় নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করতে হবে।

১১. প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অপ্রতুলতা হলে নির্বাচন একাধিক দিনে কয়েকটি ভাগে অনুষ্ঠান করা যেতে পারে।

১২. ইভিএমের শুদ্ধতা ও অপপ্রয়োগ প্রতিরোধ নিশ্চিত করা না গেলে ইভিএমের ব্যবহার পরিহার করে কাগজি ব্যালটের মাধ্যমে ভোট অনুষ্ঠান করতে হবে।

১৩. ইভিএমের শুদ্ধতা ও সঠিক প্রয়োগ নিশ্চিত করা গেলে ইভিএমের ব্যবহার বিস্তৃত করা যেতে পারে।

১৪. নির্বাচন কমিশনকে গৃহীত শপথের প্রতি অনুগত থেকে সৎ, নিরেপক্ষ ও সাহসী হয়ে সংবিধান ও আইন অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করতে হবে। নির্বাচনকে অবাধ ও নিরপেক্ষ করতে সংবিধান ও আইনে প্রদত্ত ক্ষমতা-সততা ও সাহসিকতার সঙ্গে প্রয়োগ করতে হবে।

১৫. নির্বাচন কমিশনকে আস্থার সংকট কাটিয়ে ওঠে দেশবাসীর কাছে আস্থাভাজন হতে হবে।

১৬. নির্বাচন যে অবাধ, নিরপেক্ষ ও কারচুপিমুক্ত হচ্ছে তা দৃশ্যমান হতে হবে।

আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে একাধিক দিনে কয়েকটি ভাগে ভোটগ্রহণ করা যায় কি না, তা ভেবে দেখছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তবে, বিষয়টি নিয়ে সবার সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে এর সম্ভাব্যতা, উপযোগিতা, সুবিধা, অসুবিধা ইত্যাদি বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

চলতি বছরের ১৩ মার্চ, ২২ মার্চ, ৬ এপ্রিল ও ১৮ এপ্রিল ইসি দেশের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, বুদ্ধিজীবী, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি, প্রিন্ট মিডিয়ার সম্পাদক, সিনিয়র সাংবাদিক, ইলেকট্রনিক মিডিয়ার প্রধান নির্বাহী, বার্তা সম্পাদককদের সঙ্গে সংলাপে বসে ইসি। ওই সংলাপে আমন্ত্রিতজনেরা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তাঁদের মতামত ও পরামর্শ দেন। তাঁদের মতামত বা পরামর্শ পর্যালোচনা করে ওইসব বিষয়ের ওপর মতামত জানান সাংবিধানিক এ প্রতিষ্ঠানটি। আজ রোববার গণমাধ্যমকে পাঠানো এক লিখিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ইসি থেকে আসা বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে—নির্বাচন কমিশন স্টেকহোল্ডারদের মতামত ও পরামর্শসমূহ গুরুত্ব সহকারে পর্যালোচনা ও মূল্যায়ন করে দেখেছে। এ পর্যালোচনা ও মূল্যায়ন ধারাবাহিকভাবে অব্যাহত রাখা হবে। সময় ও পরিস্থিতি অনুযায়ী কমিশন যথাযথ করণীয় নির্ধারণ করে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

বিবৃতিতে যা বলা হয়েছে

১. অংশগ্রহণমূলক, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন আকাঙ্ক্ষা ও গুরুত্ব নির্বাচন কমিশন সর্বদা অনুধাবন করে থাকে। নির্বাচনকে অংশগ্রহণমূলক, অবাধ ও নিরপেক্ষ করতে কমিশন সাধ্যমতো চেষ্টা করে যাবে। সব রাজনৈতিক দল, বিশেষত প্রধান প্রধান রাজনৈতিক দলকে অচিরেই সংলাপে আহ্বান করা হবে।

২. ভোটকেন্দ্রে ও ভোটাধিকার প্রয়োগে অর্থশক্তি ও পেশিশক্তির প্রভাব প্রতিরোধ করতে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সবার, বিশেষ করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাসমূহের সহায়তা প্রয়োজন হবে। প্রতিদ্বন্দ্বী রাজনৈতিক দলসমূহ ও প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদেরও এ লক্ষ্যে স্ব স্ব অবস্থান থেকে অতন্দ্রিত ভূমিকা পালন করতে হবে।

৩. নির্বাচনে অর্থশক্তি ও পেশিশক্তির প্রভাব প্রতিরোধ করতে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি প্রতিদ্বন্দ্বী রাজনৈতিক দলসমূহ ও প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদেরও সজাগ দৃষ্টি রেখে প্রত্যাশিত ভূমিকা পালন করতে হবে। রাজনৈতিক সদিচ্ছা, মতৈক্য ও সমঝোতা এহেন সমস্যা নিরসনে ভূমিকা রাখতে পারে।

৪. নির্বাচনে কারচুপির সুযোগ প্রতিরোধ করে অবাধ ও নিরপেক্ষ ফলাফল নিশ্চিত করতে নির্বাচন কমিশন সম্ভব সব ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। প্রতিদ্বন্দ্বী রাজনৈতিক দলসমূহ ও প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদেরও এ বিষয়ে সজাগ থেকে নজরদারিসহ সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে।

৫. প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অপ্রতুলতা হলে নির্বাচন একাধিক দিনে কয়েকটি ভাগে সম্পন্ন করা যেতে পারে মর্মে প্রস্তাবনা বিষয়ে কমিশন সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে বিষয়টির সম্ভাব্যতা, উপযোগিতা, সুবিধা, অসুবিধা ইত্যাদি বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।

৬. ভোটের সময় ভোটকেন্দ্রে ভোট কার্যক্রম পর্যবেক্ষণের জন্য অনুমোদিত সাংবাদিকদের এবং দেশীয় ও আন্তর্জাতিক নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের অবাধ সুযোগ প্রদান নিশ্চিত করতে কমিশন আন্তরিকভাবে চেষ্টা করবে।

৭. স্বচ্ছতার জন্য ভোটকেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা প্রতিস্থাপন করে ভোটকেন্দ্রের অভ্যন্তর ভাগের দৃশ্য বাইরে থেকে পর্যবেক্ষণের সুযোগ সৃষ্টি করার বিষয়টি কমিশন বিবেচনা করবে।

৮. ইভিএমের শুদ্ধতা ও অপপ্রয়োগ রোধ নিশ্চিত করতে কমিশন ইতোমধ্যে কয়েকটি সভা করেছে। পরীক্ষা ও পর্যালোচনা অব্যাহত রয়েছে। অধিকতর পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য আগামীতে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অভিজ্ঞ বিশিষ্টজনদের অংশগ্রহণে আরও পর্যালোচনা সভার আয়োজন করা হবে। অতঃপর কমিশন আগামী জাতীয় সংসদের সাধারণ নির্বাচনে ইভিএমের ব্যবহার বা ব্যবহারের পরিধি ও বিস্তৃতির বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।

সংলাপে আমন্ত্রিত ব্যক্তিদের থেকে আসা মতামত, পরামর্শ ও প্রস্তাবনাসমূহ

১. নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হতে হবে। অর্থাৎ, নির্বাচনে সব এবং বিশেষত প্রধান প্রধান রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে।

২. নির্বাচন অবাধ হতে হবে। ভোটারদের স্বাধীন ভোটাধিকার প্রয়োগে সম্ভাব্য সব প্রতিবন্ধকতা অপসারণ করে নির্বিঘ্নে ভোটাধিকার প্রয়োগের অনুকূল পরিবেশ ও সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে।

৩. নির্বাচনে সম্ভাব্য সব কারচুপির সুযোগ প্রতিরোধ করে শুদ্ধ ও নিরপেক্ষ ফলাফল নিশ্চিত করতে হবে।

৪. ভোটকেন্দ্রে ভোটাধিকার প্রয়োগে অর্থশক্তি-পেশিশক্তির ব্যবহার ও প্রভাব প্রতিরোধ করতে হবে।

৫. রিটার্নিং অফিসার হিসেবে প্রশাসনের কর্মকর্তাদের বাদ দিয়ে বা তাদের পাশাপাশি যতদূর সম্ভব কমিশনের নিজস্ব কর্মকর্তা বা বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের নিয়োগ দেওয়া সমীচীন হবে।

৬. ভোটের সময় ভোটকেন্দ্রে অনুমোদিত সাংবাদিকদের অবাধ প্রবেশাধিকার দিতে হবে।

৭, ভোটগ্রহণ কার্যক্রম পর্যবেক্ষণের জন্য দেশীয় ও আন্তর্জাতিক নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের অবাধ সুযোগ দিতে হবে।

৮. ভোটারদের ভোটাধিকার প্রয়োগ অবাধ, নির্বিঘ্ন, স্বচ্ছ ও দৃশ্যমান করতে সিসি ক্যামেরা প্রতিস্থাপন করে ভোটকেন্দ্রের অভ্যন্তরের দৃশ্য বাইর থেকে পর্যবেক্ষণের সুযোগ দেওয়া যেতে পারে।

৯. ভোটকেন্দ্রে আইনশৃঙ্খলা বজায় রেখে সম্ভাব্য সহিংসতা প্রতিরোধ করতে হবে। প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে এ বিষয়ে তাদের দায়িত্বপালনে বাধ্য করতে হবে।

১০. প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সব বাহিনীকে ভোটের সময় নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করতে হবে।

১১. প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অপ্রতুলতা হলে নির্বাচন একাধিক দিনে কয়েকটি ভাগে অনুষ্ঠান করা যেতে পারে।

১২. ইভিএমের শুদ্ধতা ও অপপ্রয়োগ প্রতিরোধ নিশ্চিত করা না গেলে ইভিএমের ব্যবহার পরিহার করে কাগজি ব্যালটের মাধ্যমে ভোট অনুষ্ঠান করতে হবে।

১৩. ইভিএমের শুদ্ধতা ও সঠিক প্রয়োগ নিশ্চিত করা গেলে ইভিএমের ব্যবহার বিস্তৃত করা যেতে পারে।

১৪. নির্বাচন কমিশনকে গৃহীত শপথের প্রতি অনুগত থেকে সৎ, নিরেপক্ষ ও সাহসী হয়ে সংবিধান ও আইন অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করতে হবে। নির্বাচনকে অবাধ ও নিরপেক্ষ করতে সংবিধান ও আইনে প্রদত্ত ক্ষমতা-সততা ও সাহসিকতার সঙ্গে প্রয়োগ করতে হবে।

১৫. নির্বাচন কমিশনকে আস্থার সংকট কাটিয়ে ওঠে দেশবাসীর কাছে আস্থাভাজন হতে হবে।

১৬. নির্বাচন যে অবাধ, নিরপেক্ষ ও কারচুপিমুক্ত হচ্ছে তা দৃশ্যমান হতে হবে।

এটিভি বাংলা/জামান

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© 2022
কারিগরি সহায়তা: Next Tech