ডেস্ক রিপোর্ট:
ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’র প্রভাবে উত্তাল রয়েছে সমুদ্র। কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত।
সোমবার দুপুর থেকে কালো মেঘে ছেয়ে আছে কক্সবাজারের পুরো আকাশ। থেমে থেমে গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টিও হচ্ছে।
তবে, এর কোনো প্রভাব পড়েনি কক্সবাজার সৈকতে ঘুরতে আসা পর্যটকদের বিচরণে। ‘অশনি’র প্রভাবে উত্তাল সাগরের ঢেউয়ের সঙ্গেই খেলছেন হাজারও পর্যটক। সবমিলিয়ে কক্সবাজারে অর্ধলাখ পর্যটক অবস্থান করছেন বলে দাবি করেছেন হোটেল-গেস্ট হাউস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম সিকদার।
সোমবার বিকেলে কক্সবাজার সৈকতে গিয়ে দেখা যায়, সাগরের উত্তাল ঢেউ আঁছড়ে পড়ছে তীরে। তা উপেক্ষা করে কক্সবাজার সৈকতের সুগন্ধা, লাবণী ও কলাতলী পয়েন্টে উল্লাসে মেতেছেন নানা বয়সী পর্যটক। এদের অনেকেই সোমবার ভোর ও সকালে কক্সবাজার পৌঁছান বলে জানিয়েছেন হোটেল সংশ্লিষ্টরা।
কক্সবাজার হোটেল, গেস্ট হাউস ও রিসোর্ট মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম সিকদার বলেন, শনিবার থেকে পর্যটক আসা কিছুটা কমেছে। এরপরও সোমবার হাজার বিশেক পর্যটক কক্সবাজারে এসেছেন। আগের আসা পর্যটকও অবস্থান করছে হাজার বিশেক। সবমিলিয়ে অর্ধলাখ ভ্রমণপিপাসু কক্সবাজার অবস্থান করছেন এখন।
কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রেজাউল করিম বলেন, ঈদের আবহ কেটে গেলেও কক্সবাজার পর্যটকে ভরপুর বলা চলে। সোমবারও বৃষ্টি উপেক্ষা করে অর্ধলাখের মতো পর্যটক সৈকতে নেমেছেন। ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’র প্রভাবে সমুদ্রবন্দরে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত থাকায় পর্যটকদের হাঁটু পানির বেশি নামতে দেওয়া হচ্ছে না। বারবার মাইকিং করে সতর্ক করা হচ্ছে।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ বলেন, ঘূর্ণিঝড় অশনির সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি রোধে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। কক্সবাজারে বিপুল পরিমাণ পর্যটক অবস্থান করায় সোমবার সকাল থেকে সৈকতে মাইকিং করে পানিতে না নামতে বারবার সতর্ক করা হচ্ছে।
এটিভি বাংলা/তুষার
Leave a Reply