1. [email protected] : @nexttech :
  2. [email protected] : SM Solaiman : SM Solaiman
রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:১৪ অপরাহ্ন

যেভাবে বুঝবেন পিত্তথলিতে পাথর কিনা

Reporter Name
  • Update Time : শনিবার, ৭ মে, ২০২২
  • ৩২৯ Time View

লাইফস্টাইল ডেস্ক:

অনেকেই পিত্তথলির পাথরের সমস্যায় ভুগছেন। জীবন যাপন ও খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন এনে আপনি পিত্তথলিতে পাথর হওয়া থেকে মুক্ত থাকতে পারেন। আজ আমরা একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছ থেকে পিত্তথলিতে পাথর কেন হয়, এর লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে জানব।

এনটিভির নিয়মিত স্বাস্থ্যবিষয়ক অনুষ্ঠান স্বাস্থ্য প্রতিদিনের একটি পর্বে পিত্তথলির পাথর কেন হয়, লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে বলেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হসপিটালের সার্জারি বিভাগের কনসালটেন্ট ডা. এ কে এম ফজলে রাব্বী। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন পুষ্টিবিদ নুসরাত জাহান দীপা।

পিত্তথলির পাথর কেন হয়, এর লক্ষণগুলো কী কী, সঞ্চালকের এ প্রশ্নের জবাবে ডা. এ কে এম ফজলে রাব্বী বলেন, পিত্তথলির পাথর মাল্টি ফ্যাক্টরে হয়। বিভিন্ন কারণে পিত্তথলির পাথর হয়। এর মধ্যে একটা ফ্যাক্টর হচ্ছে ডায়েটারি ফ্যাক্টর। আমাদের যদি হাই এনার্জি ডায়েট, যেগুলো আমরা গ্রহণ করি, হাই ফ্যাটি ফুড; এগুলো পজিটিভ ফ্যাক্টর হিসেবে কাজ করে। কারও যদি কোনও ধরনের অন্ত্রে অপারেশন হয়ে থাকে, কারও যদি অন্য কোনও কারণে সার্জারি হয়ে থাকে, সে ক্ষেত্রেও এর সম্ভাবনা বেড়ে যায়।

ডা. এ কে এম ফজলে রাব্বী বলেন, যে ফ্যাক্টরটা আমরা প্রধানত বলি, কী কারণে আসলে পাথরটা তৈরি হয়। যদি ডাক্তারি ভাষায় বলতে যাই, সেটা হচ্ছে সুপারস্যাচুরেশন অব বাইল। বাইলটা হচ্ছে আমাদের যকৃত থেকে তৈরি একটি তরল পদার্থ, যার সাথে কোলেস্টেরল মিক্স-আপ হয়ে এক ধরনের সংমিশ্রণ তৈরি করে। এই সংমিশ্রণের মধ্যে যদি কোনও ধরনের ইনস্ট্যাবিলিটি তৈরি হয়, যদি বাইল অ্যাসিড বা কোলেস্টেরল এবং অন্য উপাদান ঠিকমতো স্যাচুরেটেড না থাকে তাহলে কোলেস্টেরলটা ক্রিস্টাল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি হয়ে যায়। এ কারণে পরবর্তীতে স্টোন হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। আরও বিভিন্ন কারণে হতে পারে, যেমন—যদি কোনও কারণে পিত্তথলির অন্যান্য সমস্যা হয়, কোনও ইনফেকশন হয় বা অন্য কোনও ডিজিজ প্রসেস থাকে, তাহলে হতে পারে।

ডা. এ কে এম ফজলে রাব্বী যুক্ত করেন, আমরা সাধারণত তিন ধরনের পিত্তথলির পাথর দেখে থাকি। একটা হচ্ছে কোলেস্টেরল স্টোন। আরেকটা হচ্ছে পিগমেন্ট স্টোন এবং আরেকটা হচ্ছে মিক্সড। আমাদের দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় পিগমেন্ট স্টোন হওয়ার প্রবণতা বেশি থাকে। এ ক্ষেত্রে দুই ধরনের পাথর আমরা অপারেশেন করার পর পেয়ে থাকি। একটা হলো ব্রাউন পিগমেন্ট, বাদামি রঙের। কিছু পাথর আবার কালো হয়। যদি রিপিটেড ইনফেকশন হয়, তাহলে পাথর কালো রঙের হয়।

ডা. এ কে এম ফজলে রাব্বী আরও বলেন, এটা কিছু উপসর্গ আছে। কীভাবে বুঝতে পারি পিত্তথলিতে পাথর হলো। সাধারণত আমরা বইয়ে পাই, আশি ভাগের ক্ষেত্রে কোনও উপসর্গ থাকে না। তারা হয়তো মাঝেমধ্যে বলে—আমার পেটে মাঝে মাঝে ব্যথা হয়, আমি মনে করেছিলাম এটি গ্যাসের ব্যথা। এ ছাড়াও কিছু উপসর্গ আছে। আমরা অনেকেই মনে করি, পিত্তথলির পাথর হলেই ব্যথা হবে। ব্যথা নাও হতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে রোগী বলে—আমার পেট ফেঁপে আছে বা আমার হজমে সমস্যা হচ্ছে। এসব উপসর্গ নিয়েও রোগী আসতে পারে।

পিত্তথলির পাথর কেন হয়, লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে উপর্যুক্ত ভিডিওটি সম্পূর্ণ দেখুন।

এটিভি বাংলা/সামিয়া

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© 2022
কারিগরি সহায়তা: Next Tech