ডেস্ক রিপোর্ট:
বাংলা নতুন বছরকে বরণ করে নিতে দেশজুড়ে নানা প্রস্তুতি চলছে। উৎসবকে বর্ণিল করতে মঙ্গল শোভাযাত্রা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও মেলার আয়োজনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।
প্রকৃতির সুবজ ঘেরা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে চলছে বর্ষবরণের বর্ণিল আয়োজন। রঙ-বেরঙের ফানুষ, মুখোশসহ বিভিন্ন মোটিভ তৈরিতে শেষ মুহুর্তে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে শিক্ষার্থীরা। ‘নির্মল করো মঙ্গল করো মলিন মর্ম মুছায়ে’ এই প্রতিপাদ্যে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে হবে মঙ্গল শোভা যাত্রা।
অসম্প্রদায়িক চেতনা আর লোক সংস্কৃতির মোটিভ হিসেবে থাকছে সাপ ও ময়ূরের লড়াই এবং মাছ। নতুন বছরকে রাঙিয়ে নিতে থাকছে বিভিন্ন ধরনের মুখোশ।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের, সহকারী অধ্যাপক জানালেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে কেন্দ্রীয়ভাবে বর্ষবরণ উৎসবটি করা হবে। আমাদের পুরো আয়োজন প্রায় শেষের পথে।
তবে রমজান ও করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় এবার থাকছে না বৈশাখীমেলাসহ বড় কোনো আয়োজন। এদিকে নতুন বছরকে বরণ করতে নিতে যশোরে রবীন্দ্র, নজরুল সংগীতের পাশাপাশি গীতি কবিতা, লোকনৃত্য ছাড়াও মঙ্গল শোভা যাত্রার প্রস্তুতি চলছে।
যশোরের জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান বলেন, ‘রমজানের পবিত্রতা ও বর্ষবরণের উৎসব দুটিকে সমন্বয় করে আয়োজন করা হবে এবং মঙ্গল শোভাযাত্রা থাকবে।’
সেই ১৯৮৫ সাল থেকে যশোরে শুরু হয় মঙ্গল শোভাযাত্রা। সেই ঐতিহ্যকে ধরে রেখেছে জেলার চারুপিঠের শিল্পিরা।
যশোর উদীচী’র সভাপতি মাহবুবুর রহমান মজনু জানান, আমরা আগে যা করতাম তার চেয়ে এবারের অনুষ্ঠানের সময় কম হবে। এবার আমরা অনুষ্ঠানটি দেড় থেকে দুই ঘন্টার মাঝে সীমাবদ্ধ রাখবো।
সব অমঙ্গলকে দূরে ঠেলে দেশ এগিয়ে যাবে, বিশ্বের সব হানাহানি বন্ধ হবে- এই প্রত্যয়ে নববর্ষ বরণ হবে-এমন প্রত্যশা সবার।
এটিভি বাংলা/সামিয়া
Leave a Reply