এপ্রিলের শেষ সপ্তাহে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছে কমিশন। এছাড়া, প্রথম সভায় পৌরসভা নির্বাচন, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনসহ বীর মুক্তিযোদ্ধা খচিত স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে আলোচনা করেছে ইসি। এর আগে কেএম নূরুল হুদার নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন গত ১৩ই ফেব্রুয়ারি ৬৮ বীর মুক্তিযোদ্ধার হাতে বিশেষ ওই কার্ড তুলে দেয়। বাকিদের বিষয়ে নতুন কমিশন সিদ্ধান্ত নেবে।
তিনি বলেন, সীমানা সংক্রান্ত কোনো জটিলতা আছে কি না সেটি জানার জন্য ৭ মার্চ আমরা স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেই। এরপর ৩০ মার্চ আমরা এই বিষয়ে আবারও চিঠি দিলে ৪ এপ্রিল মন্ত্রণালয় জানায় যে, এই সিটিতে নির্বাচন আয়োজনে কোনো বাধা নেই।
তিনি আরও বলেন, যেহেতু কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচন ইভিএমে হবে। তাই ইভিএমের জন্য প্রস্তুতির বিষয়ে আছে। সেজন্য এটি ১৬ মের মধ্যে করা যাচ্ছে না। এজন্য ভালোভাবে প্রস্তুতি নিয়ে এটি ২০ জুনের মধ্যে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।
নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্বাচন না হলে সেখানে দায়িত্ব পালন মেয়র নাকি প্রশাসক বসবেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এই বিষয়টি স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় দেখবে। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় চাইলে প্রশাসক বসাতে পারে।
ইসি সংশ্লিষ্টরা জানান, আইন অনুযায়ী প্রথম সভা থেকে পরবর্তী পাঁচ বছর হয় নির্বাচিত করপোরেশনের মেয়াদ। এজন্য কুমিল্লা সিটির মেয়াদ শেষ হবে ২০২২ সালের ১৬ মে। আর ভোটগ্রহণ করতে হয় মেয়াদ শেষ হওয়ার আগের ১৮০ দিনের মধ্যে। সে হিসাবে গত বছরের ১৬ নভেম্বর থেকে এ সিটি নির্বাচনের সময় গণনা শুরু হয়ে গেছে।
দুটি পৌরসভাকে একীভূত করে ২০১১ সালে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন গঠন করা হয়। ওই বছরই প্রথম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এরপর ২০১৭ সালে এসে এ সিটি পার্শ্ববর্তী বেশ কয়েকটি ইউপিকে অন্তর্ভুক্ত করে আয়তন বাড়ানো হয় প্রায় তিনগুণ। এতে দেখা দেয় সীমানা জটিলতা। বর্তমানে এই সিটিতে ২৭টি সাধারণ ওয়ার্ড রয়েছে।
এই সিটি করপোরেশন গঠনের পর থেকে মেয়র পদে রয়েছেন মনিরুল হক সাক্কু। গত নির্বাচনে এই সিটিতে ১০৩টি কেন্দ্রে ছিল আর ভোটার ছিল ২ লাখ ৭ হাজার ৫৬৬ জন।
এটিভি বাংলা/সামিয়া
Leave a Reply