চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশনের ওয়েবসাইটে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, কোভিডে মৃত্যুহীন এক বছরেও বেশি পার করার পর জিলিন প্রদেশের উত্তরপূর্বাঞ্চলে মহামারীতে দুই জনের মৃত্যু হয়েছে।
দেশটিতে গত বছর কোভিডে আক্রান্ত হয়ে মাত্র দুই জন মারা গিয়েছিল । যার শেষ জনের মৃত্যু হয়েছিল ওই বছরের ২৫ জানুয়ারি।
দেশটিতে গত কয়েকদিনে যত কোভিড রোগী শনাক্ত হয়েছে তার অধিকাংশই জিলিনে। দেশটিতে নতুন সংক্রমণ ঢেউয়ের দুই-তৃতীয়াংশই মিলেছে উত্তর কোরিয়া ও রাশিয়ার সীমান্তবর্তী এই প্রদেশটিতে ।
কর্তৃপক্ষ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে কোথাও প্রাদুর্ভাবের খোঁজ পাওয়া মাত্র যত দ্রুত সম্ভব সংক্রমণ শূন্যে নামিয়ে আনার পদক্ষেপ নিয়েছে। এসব কঠোর পদক্ষেপের মধ্যে প্রাদুর্ভাব দেখা যাওয়া মাত্রই ওই এলাকায় অল্প ও দীর্ঘমেয়াদী শাটডাউন ও দ্রুত পরীক্ষা ব্যবস্থাও রয়েছে।
যে দুজন মারা গেছেন তাদের একজনের কোভিড টিকা নেওয়া ছিল না বলে জানিয়েছেন চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশনের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জিয়াও ইয়াহুই।
করোনাভাইরাস নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বৈশ্বিক উপাত্ত টেবিল অনুসারে, চীনে মোট প্রতি ১০০ জনে ৮৩ দশমিক ৯৮ জন টিকার সবকটি ডোজ নিয়েছে।
জিয়াও বেইজিংয়ে সাংবাদিকদের বলেন, “মারা যাওয়া দুজনেরই কোভিড জটিলতা মৃদু ছিল; তবে তারা অন্যান্য রোগে ভুগছিলেন।”
সাংহাইয়ের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ মাধ্যম দ্য পেপার জানিয়েছে মৃত দুই ব্যক্তির একজনের বয়স ৮৭ বছর, অন্যজনের বয়স ৬৫।
জিয়াও বলেন, এরমধ্যে ৩০ হাজার মানুষকে হাসপাতাল সেবা দেওয়া হচ্ছে; যা মোট আক্রান্তের ৯৫ শতাংশেরও বেশি। এদের বেশিরভাগেরই হয় মৃদু উপসর্গ, নয়তো কোনো উপসর্গই নেই।
এই দুই জন মারা যাওয়ায় এ পর্যন্ত চীনে কোভিডে মোট মৃত্যু সংখ্যা দাঁড়াল চার হাজার ৬৩৮ জনে। মহামারীতে চীন প্রথম মৃত্যু দেখেছিল ২০২১ সালের জানুয়ারিতে।
শুক্রবার চীনে দুই হাজার ২২৮ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে; আগের দিন বৃহস্পতিবার এই সংখ্যা ছিল ২ হাজার ৪১৬ জন।
নতুন শনাক্ত দুই হাজার ১৫৭ জন রোগী স্থানীয় ভাবেই সংক্রমিত হয়েছে। আগের দিন স্থানীয়ভাবে সংক্রমিতের সংখ্যা ছিল ২ হাজার ৩৮৮ জন।
শনাক্ত এই নতুন রোগীদের ৭৮ শতাংশই জিলিনে। এছাড়া দেশেটির দক্ষিণপশ্চিমাঞ্চলের ফুজিয়ানের, দক্ষিণাঞ্চলের গুয়াংডং প্রদেশে এবং আরো কিছু অঞ্চলেও নতুন কোভিড রোগী মিলেছে।
এটিভি বাংলা/ফয়সাল
Leave a Reply